নিউজশর্ট ডেস্কঃ অযোধ্যায় আজ রাম মন্দিরকে(Ayodhya Ram Mandir) নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে গোটা বিশ্ববাসীর মধ্যে। আজ অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। দীর্ঘ ৫০০ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষার পর অযোধ্যায় ফিরলেন রাম। তবে এখানে পাঁচ বছরের শিশুর হাসি মুখ নিয়েই তৈরি হয়েছে রামলালার মূর্তি। এখানে রাজা দশরথের ছেলে ছোট্ট রামলালা হিসেবেই পূজিত হন তিনি। তবে আপনারা জানলে অবাক হবেন ভারতবর্ষে আরও একটি জায়গা রয়েছে যে প্রাসাদে রাজা রাম হিসেবে পূজিত হন প্রভু শ্রী রাম।
আজকের এই প্রতিবেদনে এই ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। এই জায়গাটি হল মধ্যপ্রদেশের ওড়ছা(Orchha Mandir। এখানে রাজা হিসেবে পূজিত করা হয় প্রভু শ্রী রামকে। এমনকি প্রত্যেকদিন গার্ড অব অনার দেয় পুলিশ। এই প্রাসাদের ভেতরেই রয়েছে রাজা রামের মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের একেবারে আকর্ষণীয় এবং মধ্যমণি জায়গা হল এই ওড়ছা। এই প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন বুন্দেলা প্রধান রুদ্র প্রতাপ সিং। এই প্রাসাদের স্থাপত্যে আপনি রাজপুত এবং মুঘল সাম্রাজ্যের নিদর্শন খুঁজে পাবেন। এর মধ্যেই রয়েছে ওড়ছা মন্দির।
এখানে মন্দিরের ভেতরে রাজার বেশে প্রভু শ্রী রামকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এটি ভারতের একমাত্র মন্দির যেখানে প্রভু শ্রী রাম রাজা হিসেবে পূজিত হন। এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন রানী গণেশ কানওয়ারী। তিনি প্রভু শ্রীরামকে এত ভালবাসতেন যে অযোধ্যা থেকে তার মূর্তি তৈরি করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি ওই মূর্তি কোন মন্দিরে স্থাপন করতে চাননি। তাই প্রাসাদেই সেটি রেখে দিতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণে প্রাসাদের ভিতরেই মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। এই মন্দিরে রাজা রূপে প্রভু শ্রীরামকে প্রত্যেকদিন পুজো দেওয়া হয়।
একবার রাজা শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান বৃন্দাবনে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রানী অযোধ্যায় যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। এরপরেই রাজা শর্ত রাখেন রানী যেন অযোধ্যা থেকে শিশু রামলালার মূর্তি নিয়ে আসেন। সেই শর্তে রাজি হয়ে যান রানী। তিনি অযোধ্যায় গিয়ে ২১ দিন ধ্যান করেন। তার ধ্যানে সন্তুষ্ট হয়ে রামলালা তার সঙ্গে যেতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু একটি শর্ত দেন রামলালা যেখানে রানী তাকে প্রথমে মাটিতে রাখবেন। সেখানেই তিনি অবস্থান করবেন।
রাজা-রানী এই শর্ত মেনে একটি বাস্কেটের ভেতরে রামলালার মূর্তি নিয়ে অযোধ্যা থেকে রওনা হন। এরপর ওড়ছার প্রাসাদেই তারা দুজনে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় রানী ভুল করে বাস্কেটটিকে প্রাসাদের মাটিতে রেখে দেন। এরপর সেখান থেকে আর রামলালার মূর্তি সরানো যায়নি। শেষে এই প্রাসাদকেই মন্দির তৈরি করে ফেলেন রাজা।