ramprasad fame sabyasachi chowdhury new podcast channel for the audience

Moumita

সব্যসাচীর নতুন চমক, অভিনয়ের পাশাপাশি নতুন পেশায় নাম লেখালেন পর্দার ‘রামপ্রসাদ’

ছোটপর্দার(Bengali Serial) রামপ্রসাদ (Ramprasad) ওরফে সব্যসাচীর (Sabyasachi Chowdhury) অভিনয়ে মুগ্ধ আট থেকে আশি সকলেই। দীর্ঘ কেরিয়ারে একটার পর একটা সুপারহিট ধারাবাহিক উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তবে তার জীবনে চড়াই উৎরাই তো কম নয়। আর সেই কারণে আজকাল জীবনেও রিস্ক নিতে পছন্দ করেন তিনি। তাই এবার অভিনয়ের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে দেখা যাবে তাকে। টিভির পর্দার পাশাপাশি তার কণ্ঠস্বর শোনা যাবে ইউটিউব চ্যানেলেও (YouTube Channel)।

   

সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের ৮ জুলাই অর্থাৎ আগামী শনিবার ঠিক বিকেল ৫ টায় লঞ্চ হবে সব্যসাচীর পডকাস্ট (Podcast ) চ্যানেলটি। যেখানে নতুন নতুন গল্প শোনাবেন ভক্তদের। এই বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘অভিনয়ের পাশাপাশি গত তিনমাস ধরে অডিয়ো স্টোরি নিয়ে কাজ করছিলাম। যাকে এখন পডকাস্ট বলে আর কী।’

অভিনেতার আরো সংযোজন, ‘ন্যাড়া ছাদের গপ্পো। এই নামেই আসবে এই গোটা বিষযটি। যদিও চ্যানেলটি আমার নামেই আছে। @itssabya হল আমার চ্যানেল আইডি।’ জানা যাচ্ছে রবি ঠাকুরের শেষের কবিতাকে বেছে নিয়েছেন তিনি। সব্যসাচী জানিয়েছেন, গোটা গল্পটিকেই আনতে চলেছেন তিনি।

সব্যসাচীর কথায়, ‘গোটা উপন্যাসটাই ধীরে ধীরে তুলে আনা হবে গল্পের আকারে। এটা শেষ হলে দাতাই পুকুরের বৃত্তান্ত আসবে। এর আগেও হয়েছে শেষের কবিতা নিয়ে অডিয়ো স্টোরি। কিন্তু, অনেকটাই ছোট করে কেটে গল্পের আকারে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা পুরোটাকেই ধীরে ধীরে তুলে ধরব। এছাড়াও আমার নিজস্ব কিছু লেখা, যেগুলো নিয়ে পডকাস্ট করব। কিছু অনুবাদ সাহিত্যও রয়েছে, যুগ যুগ ধরে যা ক্লাসিকস। এছাড়াও একটা নেপোলিয়ন সিরিজ লিখতাম, ছোটদের গল্প। সেটাও ইচ্ছে আছে এখানে অডিয়ো আকারে তুলে ধরার।’

সব্যসাচীর এই নতুন প্রোজেক্টে পাশে পেয়েছেন অনেককেই। তার প্রথম প্রোজেক্ট শেষের কবিতায় থাকছেন রূপম সিংহ, দিগন্তিকা চৌধুরী। পাশাপাশি থাকছেন থিয়েটার আর্টিস্ট অরুণাদি। এদিকে সহ অভিনেতা হিসেবে কাজ করবেন সৌম্য মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি সাউন্ড ডিজাইনিং, এডিটিং পুরোটাই হবে তার হাত দিয়েই।

তবে অভিনয় দুনিয়া ছেড়ে এরকম একটা ভাবনা কেন? অভিনেতা জবাব দিলে, ‘বই পড়ার অভ্যেসটা এখন মানুষের চলে গিয়েছে। কারও এত ধৈর্য্যও নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বই পড়বে। কানে হেডফোন গুঁজে বরং গল্পে ডুব দেওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। আসলে এটাও একটা অভ্যেস। খুব একটা খারাপ অভ্যেস বলব না। কেউ যদি সেটা এভাবেই শুনতে চায়, তবে সময়টাকে সে ব্যবহার করছে বলব। সেই জন্যই হয়তো এমন ভাবনা।’