নিউজ শর্ট ডেস্ক: বছরের পর বছর ধরে আমাদের দেশে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন মূল্যের কাগজের নোট (Paper Note)। তাই এই সমস্ত নোট নোংরা হয়ে যাওয়া কিন্তু কিংবা ছিঁড়ে যাওয়ার (Bad Condition) মত ঘটনা খুবই সাধারণ ব্যাপার। তাছাড়া অনেক সময় এটিএম থেকে টাকা বেরিয়ে আসার সময়েও নোট ছিঁড়ে যেতে পারে।
তাই যদি কারও কাছে এই ধরনের ছেঁড়া-ফাটা নোট থেকে থাকে তাহলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আরবিআই অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের নোট বদলের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সকলেই জানেন ২০২৩ সালের ১৯ মে আর বি আই-এর তরফ থেকে ২০০০ টাকার নোট পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তাই এই মুহূর্তে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় নোট হল ৫০০ টাকার নোট (500 Rupee Note)। আর এবার এই ৫০০ টাকার নোট নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নতুন নিয়ম জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank)। আমাদের দেশে বর্তমানে যে ৫০০ টাকার নোট চালু রয়েছে সেই নোটের দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৬.৬ সেন্টিমিটার। আর ক্ষেত্রফল ৯৯ বর্গ সেন্টিমিটার।এই পরিস্থিতিতে যদি ছিঁড়ে যাওয়া ৫০০ টাকার নোটটি ৮০ বর্গ সেন্টিমিটার হয় তবে আরবিআই এর নিয়ম অনুযায়ী এই নোটের পুরো দাম-ই ফেরত পাওয়া যায়। তবে নোটটির দৈর্ঘ্য ৪০ সেন্টিমিটার হয় তাহলে অর্ধেক টাকা ফেরত পাওয়া যায়।
তবে মাঝেমধ্যেই এই নোট সংক্রান্ত নানা ধরনের খবর ভাইরাল হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই ৫০০ টাকার নোট শনাক্ত করণের জন্য আরবিআই-এর নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। আসুন জানা যাক কিভাবে ৫০০ টাকার নকল নোট কিংবা খারাপ নোট শনাক্ত করা যায়!
আরও পড়ুন: এখনও ফেরত আসেনি ২০০০ টাকার সব নোট! কোথায় রয়েছে এই টাকা? যা জানালো RBI
যদি কারও কাছে থাকা ৫০০ টাকার নোট ধার থেকে শুরু করে মাঝখান পর্যন্ত ছিঁড়ে যায় তাহলে সেই নোটটিকে অযোগ্য বলে বিচার করা হবে। এছাড়া যদি ৫০০ টাকার নোটে মাটি লেগে থাকে এবং সেটি খুবই ময়লা হয়ে থাকে তাহলেও ওই নোটটিকে অযোগ্য বলে বিচার করা হবে।
এছাড়া যদি নোটগুলি অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে খারাপ হয়ে থাকে কিংবা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলেও সেগুলো অযোগ্য বলেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও নোটের গ্রাফিক্স পরিবর্তন হলেও সেই নোট অযোগ্য বলেই বিবেচিত হয়ে থাকে। কিংবা নোটের রং নষ্ট হয়ে গেলেও সেটিও অযোগ্য নোট বলে বিবেচিত হয়।
রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী যদি কারও কাছে এই ধরনের ৫০০ টাকার পুরনো বা বিক্রিত নোট থাকে,তাহলে তা নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আরবিআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী যে কোন ব্যাংকের শাখায় গিয়ে এই নোট বদল করা যেতে পারে। যদি কোনো ব্যাংক এটি পরিবর্তন করতে না চায় সেক্ষেত্রে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানানো যেতে পারে।