নিউজ শর্ট ডেস্ক: আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগের ঘটনা। সালটা ছিল ২০১৯, এই বছরেই ঋণগ্রস্ত অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) জেলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল হয় অনিল আম্বানিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ৪৬০ কোটি টাকা দিতে হবে, না হলে তাঁকে তিন মাসের জন্য জেলে যেতে হবে।
কিন্তু সেই সময় অনিল আম্বানির কাছে না ছিল ঋণ পরিশোধের টাকা, না ছিল সময়। অন্যদিকে ততদিনে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় ধনকুবের হিসেবে বেশ নামডাক হয়েছিল মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani)। কিন্তু তার সাথেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল ভাই অনিল আম্বানির। তাই তার কাছে সাহায্য চাওয়ারও মুখ ছিল না অনিল আম্বানির।
তখনই তাঁর জীবনে বড় ভাই মুকেশ আম্বানি সে সময় একজন মাসিহা হয়ে ওঠেন। সেসময় ভাই অনিল আম্বানিকে সাহায্য করার জন্য পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাকে জেলে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন মুকেশ। আসলে অনির আম্বানির কোম্পানি আরকম সুইডেনের টেলিকম গ্রুপ এরিকসন থেকে ঋণ নিয়েছিল, যা নির্দিষ্ট সময়ে তিনি পরিশোধ করতে পারেননি।
জানা যায় একবছরের মধ্যেই সেই ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে আদালতকে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করতে পারেননি অনিল। তাই তখন অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এরিকসন। তখন আদালত আনিল আম্বানিকে ৪ সপ্তাহ সময় দিয়ে জানায় হয় তাঁকে টাকা জমা দিতে হবে,নয়তো জেলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: অল্প টাকা রোজগার করেও মোটা টাকা সঞ্চয় করা যায়, মানতে হবে এই স্পেশ্যাল ট্রিকস
সময় জলের মতো বেরিয়ে গেলেও টাকা জোগাড় করতে পারেননি অনিল। তখন তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান মুকেশ আম্বানি। ২০০৫ সালের কথা তখন ব্যবসা এবং সম্পত্তি অনিল আম্বানির মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল। সম্পত্তি ভাগের পর দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়।
কিন্তু সময়ের চাকা ঘুরে যায় যখন দেউলিয়া হতে বসা অনিল আম্বানি কে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুকেশ আম্বানি।সম্পত্তি ভাগের পর অনিল আম্বানি নিজের ব্যবসা ঠিকভাবে চালাতে পারেননি। আদালতের নির্দেশের পর গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছিল অনলি আম্বানির ওপর।
তখন অনিল আম্বানিকে সাহায্য করতে বড় ভাই মুকেশ আম্বানি নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র দুদিন আগে তার ঋণ পরিশোধ করতে সাহায্য করেছিলেন। অনিল আম্বানি তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আর প্রকাশ্যেই ভাই মুকেশ আম্বানি এবং ভগ্নিপতি নিতা আম্বানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন অনিল আম্বানি।