মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে তো সকলেরই হয়। দিন কয়েকের ছুটি পেলেই পোঁটলা পুঁটলি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। কিন্তু এই মার্চের শেষে কাজের ব্যস্ততা সামলে দূরে কোথাও যাওয়াও মুশকিল। এমতাবস্থায় আমরা যদি কলকাতার খুব কাছের এক জায়গার সন্ধান দিই! যেখানে মিলবে মার্চ মাসের হঠাৎ পড়া প্যাচপ্যাচের গরম থেকে মুহূর্তে রেহাই।
আমাদের আজকের গন্তব্য হল কলকাতার কাছেই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম ঋষিহাট (Rishihut)। নামটা যেমন নতুনত্ব জায়গাটিও তেমন নতুনত্ব। দার্জিলিঙের (Darjeeling) কাছে হলেও ভিড়ভাট্টা একেবারেই নেই। সুন্দর নিরিবিলি এরকম একটা জায়গায় আপনার মন হারাবেই। বিশেষ করে কম খরচায় উইকএন্ড কাটানোর একেবারে আদর্শ স্থান এটি।
ছোট ছোট ঘরবাড়ি নিয়ে গুটি কয়েক পাহাড়ি মানুষের বাস এখানে। থাকার জায়গা বলতে হোটেলের কোনো বালাই নেই। যা রয়েছে তা কেবল হোমস্টে। ঘরোয়া পরিবেশ আর তার সাথে একেবারে বাড়ির খাবার। সবে মিলিয়ে একেবারে নতুন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন তা বলাই বাহুল্য।
কীভাবে যাবেন ঋষিহাট : এটি মূলত দার্জিলিং-র একটি গ্রাম। জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি বা বাসে পৌঁছে যান দার্জিলিং। এবার সেখান থেকে আবার গাড়ি করে যেতে হবে ঋষিহাট। যদি আগে থেকেই হোমস্টে বুকিং করে রাখেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে তারাই গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়।
কী আছে দেখার : চা বাগান আর কাঞ্চনজঙ্ঘা এখানকার মূল আকর্ষণ। পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এই বাড়িগুলিতে বসে বসেই কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া, আরেকটি আকর্ষণ হল এখানকার অর্কিড।
একেবারে অরগ্যানিক খাবার : ঋষিহাটে সবচেয়ে ভালো বিষয় হল, এখানকার অর্গানিক খাবার। এখানকার বাসিন্দাদের পেশা বলতে চাষবাস। পাহাড়ের কাছে ধাপ চাষ করেন তারা। সবটাই অর্গানিক উপায়ে।