গায়ে আকাশী জামা, নেভি ব্লু প্যান্ট আর মাথায় টুপি। এটিএম গার্ডের পোশাকে ইনিই কি ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwik Chakraborty)?ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, তিনিই বটেন। তবে টলিপাড়ার (Tollywood) দাপুটে অভিনেতার এ কী হাল? হাজরার মত ব্যস্ত জায়গায় সিকিউরিটি গার্ডের পোশাকে এটিএমের সামনে কী করছেন তিনি?
একে তো হাজরার মত ব্যস্ত জায়গা, তার উপর আবার আশুতোষ কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভিড়, মেট্রোর ভিড়, হাজারো লোকের আনা গোনা, সামনেই আবার হাসপাতাল। সবে মিলিয়ে অফিস টাইমের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। আর এতকিছুর মধ্যে তিনি বসে এটিএম পাহারা দিচ্ছেন, অথচ কেউ তাকে নোটিশও করছেনা।
এরকম উদাসীনতা আরো একবার ভাবতে বাধ্য করে বৈকি! তিনি কি সত্যিই ঋত্বিক চক্রবর্তী নাকি তার হামশকল কেউ। এরপর একজন যখন তাকে জিজ্ঞেস করে, তিনিই ঋত্বিক কিনা, উত্তর তিনি বলেন, ‘না না, আমি চন্দন সেন। আগে জুটমিলে কাজ করতাম। সেই কাজ চলে যাওয়ায় এখন এটিএমের সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করছি।’
মানুষ ভাবছেন, হতেও পারে। তবে আসলে কিন্তু তা নয়। তিনি আদতেই অভিনেতা। তবে এটা কিন্তু কোনো শুটিং নয়, স্রেফ অভিনয়ের খাতিরে এই অবতার ধারণ করেছেন। তাহলেই ভাবুন মেকআপের ক্যারিশমা! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে অভিনেতার পরবর্তী ছবি ‘মায়ার জঞ্জাল’।
আর এই ছবিতেই চন্দন সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। আর সেই ছবি প্রমোশনের জন্যই নতুন অবতারে ধরা দিলেন তিনি। অধিকাংশ মানুষই চিনতে পারেনি তাকে। তবে এর মধ্যেও যে কয়জন লোক তাকে চিনেছেন তারা এসে কথা বলেছেন তার সাথে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে ছবিটি। ইতিমধ্যেই ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারও হয়ে গিয়েছে। ঋত্বিক চক্রবর্তীর পাশাপাশি অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন, ব্রাত্য বসু, সোহেল মণ্ডল, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, অপি করিম, প্রমুখ।