বর্তমানে জি বাংলার পর্দায় যে সমস্ত সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ‘ফুলকি’ (Phulki)। সাপ্তাহিক টিআরপি তালিকাতেও (TRP List) তার প্রমাণ মিলেছে। শেষ প্রকাশিত টার্গেট রেটিং পয়েন্টের লিস্টে বেঙ্গল টপারের খেতাব জিতে নিয়েছে রোহিত ও ফুলকির জুটি। অবশ্য জিতবে নাইবা কেন ধারাবাহীকে বর্তমানে চলছে টানটান উত্তেজনার পর্ব। যেখানে ফুলকিকে ফিরে আসতে দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছে রুদ্র।
যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন শুরু থেকেই ফুলকিকে মোটেই সহ্য করতে পারেনা রুদ্ররূপ সান্যাল। একাধিকবার চেষ্টা করেছি ফুলকিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার। তবে প্রতিবারই জুটেছে ব্যর্থতা। তবে এবার সে বড় আশায় ছিল যে হয়তো ফুল কি আর বেঁচে ফিরবে না। কিন্তু সেই ধারণাও ভুল প্রমাণ করে ফিরে এসেছে ফুলকি। যেটা দেখার পর রুদ্ররূপের রীতিমত ঘাম ঝরতে শুরু করেছে।
আজ অর্থাৎ ১৩ই অক্টোবরের পর্বে এক প্রকার পাগলের মত হতে দেখা গেছে রুদ্রকে। সে নিজের বোনকে বলতে শুরু করে, ‘কিভাবে? এতবার চেষ্টা করার পরেও এত রকম কাজ করার পরেও একটা মানুষ কিভাবে ফিরে আসতে পারে। আমি তো কিছুতেই ভুলতে পারছি না। মেয়েটা আমার সামনে এসে আমার দিকেই আঙ্গুল তুলে কথা বলছে আর বলছে আমি নাকি সব কিছুর পিছনে রয়েছি। কি করে এটা বলার সাহস হয় আমি জানিনা । আমার সাজানো প্রত্যেকটা চাল একে একে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ফুলকি। আমি আর নিজেকে শান্ত করে রাখতে পারছিনা’।
পরবর্তী দেখা যায় সেখানে ঈশিতা চলে আসে। আর বলে, ‘এই মুহূর্তে এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করলে হবে না। আমাদের আগে ভাবতে হবে কিভাবে দিনো নাথের মুখটা বন্ধ করা যায়। কারণ ও যদি একবার মুখ খুলে ফেলেছে তাহলেই সর্বনাশ অবধারিত’। এ কথা শুনে রুদ্র জানায় ওকে মেরে ফেলা সম্ভব নয়। তাই জেল থেকে পালাতে সাহায্য করতে হবে।
এদিকে দুর্গা পূজার আয়োজন চলছে জোর কদমে। মা দুর্গার কাছে যেমনটা মানত করেছিলেন সেই মতো ফুলকিকেই বোধনের প্রথম প্রদীপটা জ্বালাতে বলে শাশুড়ি মা। এটা মোটেই সহ্য করতে পারেনি হৈমন্তী কিন্তু ওই যে রোহিতের মা বলেছে তাই মেনে নিতে বাধ্য হয়। আর এভাবেই মা দুর্গার বোধনের জ্বালিয়ে রুদ্রর বিনাশের ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে ফুলকি। এখন আগামী দিনে কিভাবে রুদ্র ভালো মানুষের মুখোশটা সকলের সামনে ছেড়ে দেয় সেটাই দেখার অপেক্ষা।