Sabyasachi Chakraborty

Moumita

মামা থেকে সোজা স্বামী! পরিবারের সম্মতিতেই সব্যসাচীকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন মিঠু চক্রবর্তী

বাঙালি তাকে ফেলুদা (Feluda) বলেই চেনে। বাঙালির পছন্দের গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদাতে অভিনয় করতে করতে কবে যে নিজেই ফেলুদা হয়ে উঠেছেন তা তিনি নিজেও বোঝেননি। বেশ অনেকটা সময় ফেলু মিত্তির হয়ে বাঙালির মনোরঞ্জন করেছেন সব্যসাচী (Sabyasachi Chakraborty)। দীর্ঘদিন নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দেওয়ার পর সদ্য অবসর নিয়েছেন তিনি।

   

তবে মজার বিষয় হল, সব্যসাচী একা নয়, তার গোটা পরিবারই অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত‌। দুই ছেলে গৌরব অর্জুন তো অ্যাক্টিং কেরিয়ারে নাম তো করেইছে সাথে স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীও কম যায়না। তিনিও টলিপাড়ার দাপুটে অভিনেত্রী। এদিকে বড় বউমা ঋদ্ধিমাও ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

এখানে একটা বিষয় কিন্তু সত্যিই বলার মত। সব্যসাচীর গোটা পরিবার অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত হলেও একটা বিষয় কিন্তু তারা খুব সন্তর্পনে এড়িয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত জীবনের মুখোরোচক এবং নেতিবাচক গসিপ যেখানে খুব কমন একটা বিষয়, সেখানে তারা নিজেদের সুন্দরভাবে গুছিয়ে রেখেছেন।

সব্যসাচী চক্রবর্তী,ফেলুদা,মিঠু চক্রবর্তী,টলিউড,বিনোদন,গসিপ,বিয়ে,Tollywood,Entertainment,Gossip,Mithu Chakraborty,Sabyasachi Chakraborty,Feluda,Marriage

দাম্পত্য জীবনের এত গুলো বছর একসাথে পার করে এলেও কোনো বিতর্ক ছুঁতে পারেনি তাদের। সব্যসাচীর চরিত্রে কেউ কোনোদিনই কাদা ছেটাতে পারেননি। এ নিয়ে বেশ গর্ব অনুভব করেন মিঠু। একবার অভিনেত্রী নিজের মুখেই বলেছিলেন, তার স্বামীর মতো মানুষ হয় না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সব্যসাচী এবং মিঠুর পরিচয় আজকের নয়। অনেক ছোট থেকেই একে অপরকে চেনেন তারা। আসলে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্কও রয়েছে। সব্যসাচী আসলে মিঠুর দূর সম্পর্কের মামা। ছোটবেলা থেকে মামা বলেই চিনতেন তাকে। এই প্রসঙ্গে মিঠু একবার বলেন, তার টেপজামা পরার বয়স থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে চেনা পরিচয়।

তবে হ্যাঁ, তাদের বিয়ে কিন্তু প্রেম করে নয়। পরিবারের বড়োরা মিলেই এই বিয়ে ঠিক করে। আসলে রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে হওয়ায় প্রেম করার অবাধ স্বাধীনতা মিঠুর ছিল না। আর তাদের পারিবারিক সম্পর্কটা অনেক দূরের হওয়ায় এই বিয়েতেও কোনো বাধা ছিলনা। তবে বিয়ের পর যে তারা চুটিয়ে প্রেম করেছেন সে কথা বলাই বাহুল্য।