আদরের ছোট মেয়েকে হারানোর শোকে কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর বাবা-মা। ভালো নেই তাঁর দিদিও। তবে ঐন্দ্রিলার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্ট জুড়েও ছিলেন যে মানুষটা, যার সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বেঁচে থাকার কারণ’। ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া তাঁর ‘সব্য’ কেমন আছেন? এইমুহুর্তে অভিনেতার একটা আপডেট পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অনুরাগীরা।
গত ১৯ তারিখ রাতেই ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে করা সমস্ত পোস্ট তিনি সরিয়ে নেন। তখনই শুরু হয় উদ্বেগ এবং জল্পনা। অনেকেই খবরটা আন্দাজ করে নিলেও বিশ্বাস করতে মন চাইছিলনা কারোরই। এরপর ২০ নভেম্বর দুঃসংবাদ আসা মাত্র মুছেই ফেলেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
এমতাবস্থায় ঐন্দ্রিলার বন্ধু সৌরভ দাস জানায়, মিষ্টির সাথে সাথে থেমে গেছে সব্যর কলমও। আর কখনোই লিখবেনা সে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সব্যসাচীর লেখালিখির শুরুটা ছিল ঐন্দ্রিলার জন্যই। দ্বিতীয়বার ঐন্দ্রিলা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তাঁর জন্যেই লেখালেখি শুরু করনে তিনি। ঐন্দ্রিলা কেমন আছেন, তাঁর আনন্দ, কষ্ট সবটাই ফুটিয়ে তুলতেন নিজের সাবলীল লেখনীর মাধ্যমে।
এমনকি অভিনেত্রী সুস্থ হয়ে উঠলে একটি বইও প্রকাশ পায় তার। সেই খুশিতে কাছের মানুষকে পাশে নিয়ে ছবিও তুলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গেলে আজও দেখতে পাবেন সেই জ্বলজ্বলে মুহুর্ত। তবে এবার সেই লেখনীই থেমে গেল। সাথে সাথে থেমে গেল অভিনেতার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মও।
হ্যাঁ, ফেসবুকের পর এবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও বন্ধ করলেন সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার কাটাছেঁড়ার জগৎ থেকে নিজের দূরত্ব বাড়াচ্ছেন সব্যসাচী। যদিও ইনস্টাগ্রামে ততটা সক্রিয় ছিলেন না, তবে ঐন্দ্রিলা প্রায়ই দুজনের ছবি শেয়ার করে তাকে ট্যাগ করতেন। হয়ত এইসব স্মৃতি থেকেই খানিকটা দূরে থাকতে চাইছেন।