করোনা পরবর্তীকালে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলিউড কালচারে। প্রত্যাশা জাগিয়েও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক মেগা বাজেটের ছবি। আর সেই তালিকায় রয়েছে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ‘বিক্রম ভেদা’র (Vikram Veda) নামও। চলতি বছরের ‘বয়কট ট্রেন্ড’র গেরোয় ফেঁসে রেহাই পায়নি এই ক্রাইম থ্রিলারটি।
‘লাল সিং চাড্ডা’, ‘শামশেরা’, ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ব্যর্থ হওয়ার পর এই ছবিটির দিকে তাকিয়েই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার আশা করছিল বলিউড। নির্মাতারাও আশা করেছিলেন, বক্স অফিসেও ভালো ব্যবসা করবে সিনেমাটি। সেই ছবিও বক্সঅফিসে পালে হাওয়া পায়নি। ১০০ কোটি বাজেটের ছবির মেরে কেটে আয় ৮০ কোটি টাকা।
আসলে ছবি রিলিজ হওয়ার আগেই সইফ আলি খানের একটি পুরোনো ভিডিও যেভাবে ভাইরাল হয় তাতে করে এই ঘটনা তো হওয়ারই ছিল। তবে ছবি ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি সরাসরি আঙুল তুলেছেন বয়কটকারি এবং নিজের ইন্ডাস্ট্রির দিকেই।
সম্প্রতি এক নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন সইফ আলি খান। ‘বিক্রম বেধা’ খ্যাত এই তারকা বলেন, ‘যেসব মানুষরা বয়কটের ডাক দেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে তারা প্রকৃত দর্শক কিনা। যে কোনও সিনেমাকে নিশানা করে বলা ‘একে ব্যান করা হোক, একে বাতিল করা হোক’।
এরপরেই অভিনেতার সংযোজন, ‘আমার এটা ভেবেও খুব খারাপ লাগে যে বলিউড কোনও একতা দেখায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকবে না, ততদিন পর্যন্ত এই বয়কট সংস্কৃতির ক্ষমতা আমরা বুঝতে পারব না’। সর্বপরি অভিনেতার বক্তব্য, ‘যারা সারা ক্ষণ বয়কট-বয়কট করেন, তারা আসলে সিনেমার দর্শকই নন।’
এখানে বলে রাখি, ‘বিক্রম ভেদা’র পর তার আগামী ছবি ‘আদিপুরুষ’ও বয়কটের ডাক দিয়েছে নেট মাধ্যম। রামায়ণের উপর ভিত্তি করে এই ছবিতে রাবণের লুক থেকে শুরু করে আরো নানান জিনিস নিয়ে অভিযোগ রয়েছে জনতার। আর জনতা মোটেও চাননা যে, বিশ্বের সামনে রামায়ণের এরকম উপস্থাপনা হোক। এমতাবস্থায় চাপে পড়ে ‘আদিপুরুষ’ নির্মাতারা পিছিয়ে দিয়েছে ছবির রিলিজ।