পার্থ মান্নাঃ শুরু হয়েছে দেশের অতি জনপ্রিয় গানের রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’। অডিশনের পর সেরা ১৫ সিলেকশন শেষ হয়ে গিয়েছে। যেখানে বাঙালিদের সাফল্য চোখে পড়ার মত। এবছর ১৫ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৮ জনই বাঙালি। তবে এবার নতুন প্রোমো আসতেই শুরু বিতর্কের।
SaReGaMaPa এর নতুন প্রোমোতে শুরু বিতর্ক
সম্প্রতি জি বাংলার তরফ থেকে একটি প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘অ্যায় ওয়াতন ওয়াতন মেরি আবাদ রহে তু’ গাইছেন বাঁকুড়ার মেয়ে আরাত্রিকা সিনহা। গান শেষ হওয়ার পরেই তাঁর উচ্চারণ ও ভাবপ্রকাশ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন শান্তনু মৈত্র। ‘ওয়াতান’ থেকে ‘আবাদ’ এর মত কঠিন হিন্দি শব্দের মানে জেনে সেই গানগুলি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একইসাথে জানান এই ধরণের সবগুলিকে দাগ দিয়ে রাখার জন্য। এতে ভবিষ্যতে আরও সঠিকভাবে গান গাওয়া ও ভাবপ্রকাশ সম্ভব হবে।
কটাক্ষের শিকার বিচারক শান্তনু মৈত্র
এদিন আরাত্রিকার গান শোনার পর শান্তনু মৈত্র জানান, ‘এই কারণে বলছি যে বাংলা তো তুই জানিস খুব ভালো করেই। আগের পর্বেও বলেছিলাম, আন্ডার লাইন কর কথাগুলো। তুই যদি পুশ করিস তাহলে ব্যাপারটা আরও জমে যাবে’। তাঁর এই কথা একদৃষ্টে তাকিয়ে দেখছিলেন টিম হেড জাভেদ।
প্রমো ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এরপর নেটিজেনরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একদখল শান্তনু মৈত্রকে কটাক্ষ করেছেন। তো আরেকদল তাকে সমর্থন করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘জাভেদ আলি নিজেই কনফিউজড হয়ে গেছে বিচার দেখে। তো আবার কারোর মতে, ‘উনি আসলে সোনু নিগম হওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু উনি হতে পারছেন না’।
বিচারকের পক্ষেও যুক্তি নেটিজেনদের
নেগেটিভ কমেন্টের ভিড়ে অনেকেই শান্তনু মৈত্রের পক্ষও নিয়েছেন। এক নেটিজেনদের মতে, ‘শিক্ষক যদি ভালো হয় তাহলে এভাবেই শেখাবেন। ভুল শুধরে দেওয়া তাদের কাজ। যারা গান বোঝে না তারা চুপ করেই থাকুন’। তো আবার কেউ লিখেছেন, ‘যারা নেগেটিভ কম্মেন্ট করে চলেছে তাদের কেউ গানের গ জানে না। শান্তনু মৈত্রের সমালোচনা করতে গেলেও যোগাতার প্রয়োজন’।