নিউজশর্ট ডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গে এবছর গরমের প্রকোপ এতটাই বেশি যে তাপমাত্রা ৪০ পেরিয়ে ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু এই তীব্র গরমের মাঝেই ফুরিয়েছে গরমের ছুটি। অন্যান্য রাজ্যে বর্ধিত হলেও পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ (Summer Vacation) বাড়ানো হয়নি। তাই ১০ই জুন থেকেই খুলেছে স্কুল কলেজ, প্যাচপ্যাচে গরমেই স্কুলে যেতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। এতে যেমন উপস্থিতির হার কম তেমনি পড়ুয়াদের শরীর খারাপের আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, গরমের জেরে ২৫% উপস্থিতির হারও নেই স্কুলে। বহু স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার খবরও মিলেছে। তাই অনেকেই দাবি জানিয়েছিলেন আরও কিছুদিন ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। অনেকে এও বলেছিলেন যে স্কুল ছুটি না দেওয়া হলেও সময় পাল্টানো হোক। এবার সেই বিষয়েই নির্দেশিকা জারি করলে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর।
তীব্র গরম ও ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবে ডিরেক্টর অফ এডুকেশনের তরফ থেকে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে স্কুলের সময় পরিবর্তন করার জন্য। অর্থাৎ জুন মাসের যে কদিন বাকি সেইদিনগুলি স্কুলের পঠন পাঠনের সময় পাল্টে দেওয়া যেতে পারে। যদিও এই সিদ্ধান্ত স্কুলের উপরেই নির্ভর করছে। মূলত বৃষ্টি নেমে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার আগে পর্যন্ত এই সময়ের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পড়ার খরচ নিয়ে নো চিন্তা! অ্যাপ্লাই করলেই মিলবে ১২,০০০ টাকা স্কলারশিপ
এই নির্দেশিকা অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে বেলা ১০.৩০ বা ১১টার বদলে সকালের দিকে স্কুল চালু করতে পারে, যেমন সকাল ৭টা বা ৮টা। এতে করে তীব্র গরম থেকে কিছুটা সময় রেহাই পাওয়া যাবে। যদিও এতে মিডডে মিলের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত স্কুলের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি নতুন নিয়ম চালু করতেই পারে। যদি চালু করা হয় তাহলে সত্যিই পড়ুয়ারা তীব্র গরমের হাত থেকে মুক্তি পাবে এমনটাই ধারণা অবিভাবকদের একাংশের। তবে আগামী দিনে কি হবে সেটাই দেখার অপেক্ষা।