বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Serial) জগতে এক অন্যরকম গল্প নিয়ে হাজির হয়েছে ‘মেয়েবেলা'(Meyebela)। সবেমাত্র এই ধারাবাহিক পথচলা শুরু করেছে স্টার জলসায় (Star Jalsa)। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে দর্শকদের মনে। ভিন্নস্বাদের এই ধারাবাহিক দেখতে টিভির সামনে বসে পড়ছেন দর্শকেরা। আর তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে টিআরপি তালিকায়।
সাধারণত বাংলা ধারাবাহিক মানেই কুটকাচালি এবং পরকীয়ার গল্প। তবে এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে নয়া গল্প নিয়ে হাজির হয়েছে ‘মেয়েবেলা’। আর সে কারণেই দর্শকেরা বেশ পছন্দ করেছেন এই ধারাবাহিক। দীর্ঘদিন পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোট পর্দায় পা রেখেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি চলছে বিয়ের মরশুম। সবেমাত্র সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন মৌ-ডোডো। যদিও তাঁদের এই বিয়ে হয়েছে শর্তসাপেক্ষে। নিজের প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে করতে চাইলেও বাধ্যতামূলক মৌয়ের সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে হয়েছে ডোডোকে। এই ঘটনায় পরিবারের অন্যান্যরা খুশি হলেও একেবারে খুশি নন ডোডোর মা বিথী তথা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
নতুন বউকে কিছুতেই সহ্য করতে পারেন না বিথী। আর সে কারণে স্বামী কিংবা শাশুড়ি কারোর ভালোবাসাই পাচ্ছে না সে। এমনকি ইতিমধ্যেই স্বামীর সঙ্গে শুরু হয়েছে ভুল বোঝাবুঝি। আসলে বিয়ের দিন প্রেমিকা চাঁদনিকে বাড়ি ছাড়তে গিয়েছিল ডোডো। রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। আর সে কারণেই মণ্ডপে ফিরে আসতে দেরি হয় ডোডোর। আর তাতেই পরিবারের লোকেরা বকাবকি করতে থাকে মৌকে। এতেই স্বামীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে সে।
ধারাবাহিকের নয়া প্রমোতে দেখা যাচ্ছে স্ত্রী মৌকে স্পষ্টভাবে ডোডো জানিয়ে দিয়েছে তাঁকে দোষারোপ করার আগে ভেবে নিতে হবে আগু পিছু। এমনকি তাঁর মেসোমশাইয়ের টাকা খুব শীঘ্রই ফিরিয়ে দেবে সে এমনটাও জানিয়ে দিয়েছে অভিনেতা। তবে সেই দিনের অপেক্ষা না করে যদি মৌ আগেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে কোন সমস্যা নেই।
অভিনেতার এহেন মন্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। ধারাবাহিকের এই পর্ব দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন তাঁরা। সত্যি কি মৌ সম্পর্ক ভেঙ্গে দেবে? নাকি হাজার সমস্যার মধ্যেও স্বামী এবং শাশুড়ির মন পাওয়ার চেষ্টা করবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দর্শকদের মনে। যদিও এর উত্তর পাওয়া যাবে আগামী পর্বেই।