পার্থ মান্নাঃ পুজোর আর মাত্র কিছুদিন বাকি থাকলেও আশেপাশের পরিবেশ দেখলে বোঝা যায় পুজোর আমেজ অনেকটাই ফিকে। আসলে তিলোত্তমার সাথে হওয়া জঘন্য অপরাধ কেউই মেনে নিতে পারছে না। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা পথে নেমেছেন সুবিচারের দাবিতে। তৈরী হয়েছে প্রতিবাদী গান। এবার এমনই আরও একটি গান নিয়ে হাজির হলেন শান।
৯০ এর দশকের বেশিরভাগ ছেলেমেয়েরাই শানের গান শুনে বড় হয়েছে। এমনকি আজও সেই সব গান মন ছুঁয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিবছরেই পুজোর সময় পুজো স্পেশাল গান রিলিজ হয়। এবছরেও সেই ধারা বজায় থাকল। তবে খুশির নয় বরং আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে যাতে মানুষ সমবেত হয়ে বিচার চায় তার জন্য তৈরী হল গান।
সম্প্রতি শানের গান ‘দুর্গতিনাশিনী’ রিলিজ হয়েছে। গানের প্রতিটি লাইন গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত, যা ন্যায্য বিচারের দাবিতে মানুষকে একজোট হওয়ার আহ্ববান জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই গানটিতে লক্ষাধিক ভিউ হয়ে গিয়েছে। তবে এবছর কোনো উৎসবের মরশুমে কোনো বাণিজ্যিক শো তিনি করছেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন শান।
গানটির সম্পর্কে বলতে গিয়ে শান জানান, ‘একটা জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও চিকিৎসক থেকে শিক্ষার্থী, বিশেষ করে নারীদের আন্দোলন আমাকে অন্তর থেকে প্রভাবিত করেছে। আমিও তাদের মতই হতাশ, সেই সমস্ত মানুষদের কুর্নিশ ও সাধুবাদ যারা ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার এই গানটি আশা, আশ্বাস দেওয়ারই একটা চেষ্টা মাত্র। মা দুর্গার উত্থানে যেন দুষ্টের দমন নয়। একইসাথে প্রতিটা মেয়ে বা নারী যেন সাহসের টিক থেকে দুর্গতিনাশিনী হয়ে ওঠে সেটাই কাম্য’।
আরও পড়ুনঃ মাসে ৩৬০০ দিয়েই মিলবে ২৭ লক্ষ, কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবে LIC-র এই পলিসি
এছাড়াও গায়ক আরো বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি আনন্দের নয়। আমি আমার বন্ধু রাজীব চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করে নিজের মনের কথা জানাই ও তিনি মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যেই গানটি লিখে ফেলেন। তবে গানটা কম্পোজ করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। এরপর তিন দিনের মধ্যেই গানটি তৈরী হয়’।