দীর্ঘ ৫ বছর পর রূপোলী পর্দায় ফিরে রীতিমত ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন তিনি। বক্স অফিসে তুলেছেন ঝড়। বেশ অনেকটা সময় পর কোনো বলিউড ছবি নিয়ে এই উন্মাদনা দেখেছে মানুষ। পাশাপাশি কিং খানের ঝুলিতেও এসেছে একাধিক রেকর্ড। সবে মিলিয়ে ‘পাঠান’র সাফল্য শাহরুখ খানকে যেন নতুন করে উজ্জীবিত করে তুলেছে।
ছবির এই গগনচুম্বী সাফল্যকে তিনি ঠিক কীভাবে উদযাপন করবেন এতদিন বোধহয় সেটাই বুঝতে পারছিলেন না বলিউড বাদশা। তাই প্রথমে ঘড়ি কিনে সাফল্য উদযাপন করার পর শাহরুখ (Shahrukh Khan) এবার কিনে ফেললেন অত্যন্ত দামী এবং বিলাসবহুল এক গাড়ি (Expensive Car)।
প্রসঙ্গত, শাহরুখের গাড়ির প্রতি ভালোবাসা তো কারোরই অজানা নয়। তার সংগ্রহে রয়েছে, বিএমডব্লিউ, অডি, মার্সিডিজ বেঞ্জ সহ নানা ব্র্যান্ডের গাড়ি। তবে তার নতুন গাড়িটি একটু বেশিই আকর্ষণীয়। পাশাপাশি গাড়ির দাম শুনলেও অনেকে আঁতকে উঠতে পারেন।
জানা যাচ্ছে, শাহরুখের সংগ্রহে এটাই এখন সবচেয়ে দামি গাড়ি। যেমন তেমন নয়, একেবারে ১০ কোটি টাকার সাদা ঝকঝকে রোলস রয়েস ঢুকেছে মন্নতে। সেটিকে আবার নিজের মনের মত করে কাস্টমাইজড-ও করিয়েছেন তিনি। কী এমন আছে এই গাড়িতে? এক ঝলকে বাদশার নতুন কালেকশনের ফিচার্স দেখে নিই চলুন।
শাহরুখের নতুন রোলস রয়েস কুলিনান ব্ল্যাক ব্যাজে বসেই দেখতে পাবেন, মহাজাগতিক সমস্ত জিনিস। রয়েছে ফাইবার অপটিক স্ট্র্যান্ড। এছাড়া শক্তি উৎপাদনের জন্য রয়েছে ১২ টি বিশাল টার্বোচার্জড সিলিন্ডার। কিং খানের এই গাড়িতে সর্বাধিক ৯০ লিটার তেল ভরা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শাহরুখের এই গাড়ির স্পিড হচ্ছে ২৫০ কিমি প্রতি ঘন্টা।
অর্থাৎ শূন্য থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা স্পিড তুলতে সময় লাগে ৫.১ সেকেন্ড। এমনকি ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়লেও কোনো সমস্যা নেই। অ্যাডভান্স ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম তৎক্ষণাৎ অ্যালার্ট করে দেবে। গাড়ির দৈর্ঘ্য সম্পর্কে বললে, শাহরুখের নতুন পক্ষীরাজ প্রায় ১৭ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা।