একটা সমস্যা মিটতে না মিটতেই চলে আসে নতুন সমস্যা। স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার অবকাশই নেই শঙ্কর-ঐশানীর (Shankar Oishani) জীবনে। জামাইবাবু, তাপস দা, ওদিকে আবার বৌমনি মিতালি, অন্যদিকে ছোট দেওর ভাস্কর, এই সবার চক্রান্তে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’র (Horogouri Pice Hotel) পরিবেশ।
যারা নিয়মিত ধারাবাহিকটি দেখছেন তারা জানেন যে, শঙ্কর-ঐশানীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে মা বাবাকে অজ্ঞান করে তাদের থেকে সম্পত্তির কাগজে টিপসই নিয়ে নেয় ভাস্কর আর মিতালি। শুধু তাই নয়, তাদের ট্যাংকের মধ্যে ঢুকিয়ে সিমেন্ট দিয়ে বাইরেটা বন্ধও করে দিয়েছে তারা। অর্থাৎ এখন পুরো জীবন মরণ পরিস্থিতি।
শঙ্কর-ঐশানী বাড়ি ফিরতেই সন্দেহ দানা বাঁধে তাদের মনে। চারিদিক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে অর্ধমৃত অবস্থায় ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে তাদের। তবে এতকিছু হয়ে গেলেও মিতালি ভাস্করের মুখ দেখে বোঝার জো নেই যে তারাই কালপ্রিট। বরং উল্টে বাকিদের দোষারোপ করতে থাকে তারা। তবে প্রমাণ না থাকায় ঐশানীকেও চুপ করেই থাকতে হয়।
এসবের মধ্যেই চলে এল নতুন বিপদ। ভাস্কর জানায়, এই বাড়ি এখন তার। আর তার এই বাড়িতে অন্য কেউ থাকতে পারবেনা। বৌমনি মিতালিকে সঙ্গে নিয়ে গোটা বাড়ির দখল নিয়ে নেয় সে। তবে ঐ কথায় আছে না শয়তানের মাথায় সবসময় শয়তানি বুদ্ধিই খেলা করে। তাই মিতালি এখন ভাবতে থাকে কিভাবে ভাস্করকে তার রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলবে।
যদিও ঐশানী চুপ থাকার মেয়ে নয়। সে সোজা পৌঁছে যায় থানায়। পুলিশ নিয়ে ফিরেও আসে বাড়িতে। তবে আইন তো কেবল প্রমাণ বোঝে। আর বাড়ির দলিলপত্র তো সব ভাস্করের নামেই। এমতাবস্থায় কীভাবে বাড়ির ছাদ ফেরাবে সে? ইস্মার্ট মেয়ের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ পাস করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।