গতকাল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন রাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী। ক্যাবিনেট পদমর্যাদার জোড়া উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন অমিত মিত্র। এই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাও যেন কোথাও অমিতকে ছাড়তে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই নিজে অর্থমন্ত্রী হয়ে ক্যাবিনেট পদমর্যাদার জোড়া উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দিলেন অমিত মিত্রকে।
তবে এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরেই নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের মিল খুঁজে পেয়েছেন। তিনি টুইটারে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে লেখেন, এটা কি একেবারেই কোন কাকতালীয় ঘটনা, নাকি অনুপ্রেরণা দেওয়া হচ্ছে? পাকিস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করার কিছুদিন পরেই বাংলায় কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হলো অমিত মিত্রকে। দু ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটল কিভাবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে বিজয়ী ঘোষণা না হওয়ায় ১৬ অক্টোবর মেয়াদ শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁকে সরিয়ে না দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান সরকার তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দেন। ঠিক একি কাণ্ড ঘটে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্য সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে পাকিস্তানে সরকারের সিদ্ধান্তের মিল থাকায় সুর তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।