নিউজ শর্ট ডেস্কঃ প্রত্যেকটি মানুষেরই নিজের স্বপ্ন থাকে নিজের বাড়ি তৈরি করার। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাড়ি তৈরি করা যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেখানে বাড়ি কেনা সত্যি অসম্ভব হয়ে উঠছে। তবে এখন বাড়ি কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলো গ্রাহকদের লোন দেয়।
আর আগামী দিনে একটি ছোট ফ্লাটের দামও ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে হোম লোনের ইএমআই (EMI) জোগাড় করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়বে গ্রাহকেরা। তাই এক্ষেত্রে লোনের বোঝা দূর করার জন্য এসআইপি অনেক সাহায্য করতে পারে। আসলে এসআইপির মাধ্যমে বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়।
যেহেতু এটি প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দেওয়া হয় তাই এই মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা দিয়ে বাড়ি কেনার সময় আপনার টাকার অভাব হবে না। কিন্তু কিভাবে এই সুবিধা মিলবে চলুন দেখে নেওয়া যাক। ধরুন, যদি কেউ ২০ বছর বয়সে ৮.৫ শতাংশ সুদের হারে ৪০ লাখ টাকার হোম লোন নিয়ে থাকেন। তাহলে একটানা ২০ বছর প্রত্যেক মাসে তাকে ৩৪,৭১৩ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ ২০ বছরে ৪০ লক্ষ টাকায় সুদ দিতে হবে ৪৩,৩১,১০৩ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে আয় হবে ২ লাখ টাকা! ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার, শুরু করুন এই লাভজনক ব্যবসা
অর্থাৎ সুদ এবং আসল মিলিয়ে গ্রাহককে ব্যাংকে পরিশোধ করতে হবে ৮৩,৩১,১০৩ টাকা। যদি এখন কোন ব্যক্তি এসআইপিতে EMI-এর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করেন, তাহলে তার অনেকটাই আর্থিক বোঝা কমে যাবে। কারণ ৩৪,৭১৩ টাকার ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হল ৮৬৭৮ টাকা। এখন যদি ৮৬৭৮ টাকার উপর ১২ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়, তাহলে ২০ বছরে মোট বিনিয়োগ হবে ২০,৮২,৪৮০ টাকা। অর্থাৎ সুদ হিসাবে মিলবে ৬৫,৮৭,১২৬ টাকা। মোট রিটার্ন আসবে ৮৬,৬৯,৬০৬ টাকা।
এক্ষেত্রে এসআইপিতে বিনিয়োগ করে আপনার কাছে আসছে ৮৬,৬৯,৬০৬ টাকা। অর্থাৎ হোম লোনের পুরো টাকাটাই আপনার এসআইপির মাধ্যমে উঠে আসছে। এছাড়া আপনার হাতেও কিছু টাকা বেঁচে যাচ্ছে।