নিউজশর্ট ডেস্কঃ যে হরে প্রতিদিন খরচ বেড়ে চলেছে তাতে একটা কাজ থেকে সমস্ত খরচ তোলা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে অনেকেই ছোটখাটো কোনো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন যেখান থেকে মাস গেলে একটা মোটা টাকা পাওয়া যেতে পারে। এমনকি নেই শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে বাড়িতে বসে আছেন। আজ এমন একটা ব্যবসার সম্পর্কে জানাবো যেটা শুরু করতে পারলেই নিশ্চিতভাবে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা যায় করা সম্ভব। কিভাবে শুরু করবেন? জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
বাড়ি থেকেই ব্যবসা করে মাসে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়
আজকে যে ব্যবসার কথা আপনাদের বলবো সেটা হল চিঁড়ে তৈরির ব্যবসা। যেটা সারাবছরই ডিমান্ড যেমন রয়েছে তেমনি তৈরী করা সহজ ও বাজারে ভালো দামও পাওয়া যায়। বাড়িতে বা ছাদে জায়গা থাকলে সেখান থেকেই এই ব্যবসা শুরু করে দেওয়া যায়। এতে আপনি যতবেশি উৎপাদন করতে পারবেন ততই আপনার প্রফিট হবে। কারণ উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারত এমনকি বিদেশ থেকেও অর্ডার আসে চিঁড়ের জন্য।
কিভাবে শুরু করবেন চিঁড়ে তৈরির ব্যবসা
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই আপনার একটা বড় ঘরের প্রয়োজন। চাইলে শুরুতে বাড়ির ছাদেও শুরু করতে পারেন। মোটামুটি ১২ ফুট বাই ১৫ ফুটের একটা ঘর বা জায়গা হলেই হবে। তবে চারিদিক ঘেরা থাকতে হবে। এরপর চিঁড়ে তৈরির জন্য আপনাকে একটি মেশিন কিনতে হবে যেটা চাল থেকে চিঁড়ে তৈরী করে দেবে।
ধানকে প্রথমে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর সেই চাল রোস্টার মেশিনে দিয়ে ভেজে নিলেই সে চিঁড়েতে পরিণত হয়ে যাবে। এরপর সেটা প্যাকেট করে বিক্রি করা যাবে বাজারে। বা চাইলে দোকানে দোকানে সাপ্লাই দেওয়া যাবে। চিঁড়ে তৈরির মেশিনের খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত। তবে একবার ইনভেস্ট করলে খুব জলদি সেটা ফেরত পেয়ে মোটা আয় করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ চাকরি নয়, চাষ করেই প্রতিমাসে নিশ্চিন্তে আয় ১লাখ! এই ব্যবসা শুরু করলে আপনিও হবেন মালামাল
চিঁড়ের ব্যবসার কত আয় হতে পারে?
এক্ষেত্রে ধান ১৬-১৭ টাকা কেজি হিসাবে কিনতে পাওয়া যাবে। বাকি চিঁড়ে তৈরির খরচ নিয়ে আপনার ২০ টাকা মত লাগবে প্রতি কেজিতে। এবার আপনি সেটা ৮০-১০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও চিঁড়ে মেশিনে ধানের যে খোসা ওয়েস্টেজ হিসাবে নিচে জমা হয় সেটা গবাদি পশুর খাবার হিসাবে বিক্রি করা যেতে পারে। নাহলে সেই ধানের খোসা জ্বালানি হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।
১০০ কেজি ধান থেকে মোটামুটি ৯০ কেজি পর্যন্ত চিঁড়ে পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ আপনার উৎপাদনের খরচ যদি হয় ২০ X ১০০ = ২০০০ টাকা আপনি সেটা ৮০ X ০ ৯০ = ৭২০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ দিনে যদি ১০০ কেজি চাল নিয়ে কাজ করেন তাহলে মাসে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে যদি আনুসাঙ্গিক খরচ বাদও দেওয়া যায় তাহলেও প্রায় ২ লক্ষ টাকা ইনকাম হবেই।