পার্থ মান্নাঃ দুদিন পরেই মহালয়া, তারপরেই পুজোয় মেতে উঠবে সবাই। যদিও আরজি করে ঘটনায় পুজোর সেই আমেজ অনেকটাই ফিকে। তবে বছরের এক চারটে দিন একটু হলেও পরিবার প্রিয়জনদের সাথে আনন্দে কাটান সকলে। অবশ্য এরই মাঝে সুখবর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল নন্দিনী দিদি। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ডালহৌসির পাইস হোটেলের স্মার্ট দিদি নন্দিনীর কথাই বলছি।
ডালহৌসির অফিস পাড়ায় রাস্তার ধারে বাবার সাথে একটি পাইস হোটেল চালাতেন নন্দিনী দিদি। আধুনিক পোশাকে গলায় ব্লুটুথ হেডফোন নিয়ে খাবার পরিবেশন করতেন কলকাতা শহরের মানুষদের। এমনই একটা ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়ে পরে তারপর থেকে একেরপর এক ইউটিউবের থেকে ব্লগারর ভিড় জমিয়েছিল নন্দিনী দিদির পাইস হোটেলে। তবে ডালহৌসির সেই হোটেল এখন আর নেই।
ডালহৌসির হোটেল বন্ধ হলেও নিউটাউনে নন্দিনীর হেঁশেল খুলেছেন তিনি। তাঁর বাবার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল একটা নিজস্ব হোটেল খোলার। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। তবে এবার আরও একটা সুখবর মিলল মহালয়ার আগেই। নতুন হোটেল খুলছেন নাকি? না না ব্যাপারটা তেমন নয়।
আসলে বেহালার চণ্ডীতলা মাঠে বসেছে পুজোর মেলা। সেখানেই নাকি এবার নিজের খাবারের দোকান দিয়েছেন তিনি। শনিবার, রবিবার আর সোমবার তিনি নিজে থাকবেন দোকানে। সেই খবরই লাইভে এসে শোনালেন নন্দিনী দিদি। একইসাথে অনুরোধ করলেন সকল বেহালাবাসীদের মেলায় আসার জন্য।
View this post on Instagram
এছাড়া বর্তমানে ডালহৌসির দোকানেই দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে। বাঙালি খাবার তো বটেই, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে চাইনিজও পাওয়া যাচ্ছে সেখানে। যদিও নিন্দুকদের মতে পাশাপাশি দোকানে ভিড় হলেও মাছি তাড়াচ্ছে নন্দিনীর হেঁশেল। মূলত অত্যাধিক দামের কারণেই নাকি এমনটা হয়েছে। তবে নন্দিনীদির মতে তিনি কাস্টমার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খান।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পর নিজের লাইফস্টাইলে ব্লগিং চ্যানেল খুলেছেন নন্দিনী দিদি। সেখানে ঘুরতে যাওয়ার ভিডিও থেকে ফুড ভ্লগিং, প্রোডাক্ট প্রমোশন সবই করেন তিনি। এমকি সিনেমাতেও চান্স পেয়ে গিয়েছেন দিদি। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সাথে ছবির শুটিং হয়েগিয়েছে। তবে এখনও ছবির রিলিজের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।