‘শাহরুখ খান’, শুধু একটা নাম নয়, একটা পরিচিতি। প্রায় তিনটে দশক কাটিয়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। দীর্ঘ কেরিয়ারে উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারহিট ছবি। আজ সেই কিংবদন্তি তারকারই জন্মদিন। তার জন্মদিন মানে অনুরাগীদের কাছে উৎসবের থেকে কম কিছু নয়। তাকে কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখবেন বলে দূর-দূরান্ত থেকে মান্নাতের সামনে এসে ভিড় জমান অনুরাগীরা। আজকে তার জন্মদিনে ভক্তদের জন্য রইল কিছু সেরা ছবির তালিকা। ২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিন উপলক্ষে ফের মুক্তি পাচ্ছে এই বলিউড ব্লক বাস্টার।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে : ২৭ বছর পেরিয়েও রাজ-সিমরনের প্রেমকে টেক্কা দেবে, বলিউডে এমন প্রেমের গল্প নেই। প্রেম মানেই ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, প্রেম মানেই ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’। রূপোলী পর্দায় শাহরুখ-কাজলের ম্যাজিক আর সংগীত পরিচালক জুটি যতীন-ললিতের অনবদ্য সৃষ্টি। সবে মিলিয়ে আজ ২৭ বছর পরেও ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ভারতীয় ফিল্মি ইতিহাসের এক মাইলফলক।
কাল হো না হো : সাল ২০০৩ এ পরিচালক নিখিল আডবণীর পরিচালনায় তৈরি হয় ‘কাল হো না হো’। সেইসময় এই ছবি দেখে চোখের জল ফেলেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই ছবিতে আমন চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান। নিজের প্রেমকেও যে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার মতো হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প লিখেছিল ‘কাল হো না হো’।
স্বদেশ : ছবির নামেই দেশপ্রেম। সাল ২০০৪ এ দেশবাসীর চোখে জল এনেছিল এই ছবি। দেশের প্রতি ঠিক কতটা ভালোবাসা থাকলে নাসার কাজ ছেড়ে নিজের গ্রামে ফেরা যায় তা দেখিয়েছিল এই ছবি। সবশেষে গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে ফিরে গেছিলেন নিজের গবেষণার কাজে।
চক দে ইন্ডিয়া : রোমান্টিক হিরোর তকমা তো আগেই খুলে ফেলেছিলেন। তবে এই ছবিতে মানুষ দেখেছিল এক সম্পূর্ণ অন্য শাহরুখকে। সাল ২০০৭ এ শিমিত আমিনের পরিচালনায় ভারতের মহিলা হকি টিমের কোচ হিসেবে দেখা গেছে তাকে। অসাধারণ অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিলেন শাহরুখ।
মাই নেম ইজ খান : সাল ২০১০ এ মুক্তি পেয়েছিল করণ জোহর পরিচালিত ‘মাই নেম ইজ খান’। অ্যাসপারগার্স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত রিজওয়ান (শাহরুখ) বিয়ে করেছিল মন্দিরাকে (কাজল)। এরপরেই ঘটে এক বড়ো ঘটনা। আমেরিকায় টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু রিজওয়ানের। মাস্ট ওয়াচ মুভির মধ্যে এটিও একটি।