এই বাড়িতেই বেড়ে ওঠা। জীবনের চড়াই উৎরাই প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে এই বাড়ি। আধুনিকতা আর সাবেকিয়ানার মিশেলে করা হয়েছে বাড়ির অন্দরসজ্জা। বেহালার বিরেন রয় রোডের পাশে অবস্থিত এই লাল বাড়িটি কোনো প্রাসাদের চেয়ে কম নয়। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমরা কার বাড়ির কথা বলছি? কার আবার, প্রিন্স অফ ক্যালকাটা সৌরভ গাঙ্গুলীর কথা হচ্ছে আজ।
লিভিং রুম : বাইরেটা লাল হলেও ভেতরের রঙ ছিমছাম। লিভিং রুমের রঙের দেওয়ালের সঙ্গে মানান সই সোফা এবং সেন্টার টেবিল। সাথে দূর্দান্ত সাজসজ্জা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে রুমটির সৌন্দর্য।
ডাইনিং এরিয়া : সচিন তেন্ডুলকর থেকে রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বাড়িতে আসা অতিথিদের এখানেই ভুরিভোজ করান সৌরভ-জায়া ডোনা। মাস কয়েক আগে এখানেই খাওয়াদাওয়া সেরেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিস্তৃত বাগান : গাঙ্গুলি বাড়ির একটি বিস্তীর্ণ বাগান এবং মনোরম লন রয়েছে, যেখানে ক্রিকেটার সকালে হাঁটতে যায়। ক্রিকেট অনুশীলনের পিচও রয়েছে এখানে।
স্মৃতিতে ভরা একটা ঘর : এই বিশাল প্রাসাদে আরো একটি রুম রয়েছে যা মহারাজের বড্ডো কাছের। এই ঘরটি পুরস্কার, ট্রফি এবং অন্যান্য নানা স্মৃতিচিহ্নে ভর্তি। মজার ব্যাপার হল, রুমটি মূলত তৈরি করেছিলেন সৌরভের বাবা প্রয়াত চণ্ডীদাস, যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন।
গেস্ট রুম : মহারাজের বাড়িতে একটি জমকালো গেস্ট রুমও রয়েছে, যেখানে শৈল্পিকভাবে ডিজাইন করা সোফা এবং একটি সেন্টার টেবিল রয়েছে। ছাদ থেকে ঝুলছে মানানসই ঝাড়বাতি।
ব্যালকনি : বাড়ির ব্যালকনি। সামনে কয়েকটা গাছগাছালি। বাড়ির সবচেয়ে প্রিয় জায়গাগুলির মধ্যে একটা। অবসর সময়ে এই জায়গাটাই হয়ে ওঠে তার সময় কাটানোর সঙ্গি।
বাড়ির প্রিয় কোণা : এতোবড়ো প্রাসাদে সৌরভের একটা নিজস্ব কোণা রয়েছে। কলকাতায় থাকাকালীন সকালের চা এখানেই খান সৌরভ। টা হিসেবে অবশ্যই খবরের কাগজ। খেলার খবর ছাড়া দিন শুরু হয় না যে।