কৃশানু ঘোষ , কলকাতাঃ আইপিএল-কে (IPL 2025) অনেকেই বলে থাকেন ‘টাকার খেলা’ (IPL 2025 Earning)! বিসিসিআই-এর (BCCI) এই লীগ সম্পর্কে নানা জনের নানা মত থাকলেও, এই লীগ যে সত্যিই টাকা আয়ের খনি, তার জানান দিচ্ছে ২০২৩-২০২৪ সালে আইপিএল-এর (Indian Premier League) রাজস্ব আদায়ের রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, ২০২৩ আর্থিক বছরে বিসিসিআই ১৬,৪৯৩ কোটি টাকা, এবং ২০২৪ আর্থিক বছরে বিসিসিআই ২০,৬৮৬ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে। তাহলে, আইপিএল ২০২৫ থেকে কত টাকা আয় করল বিসিসিআই? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আইপিএল ২০২৫ থেকে কত টাকা আয় করল বিসিসিআই? | IPL 2025 Earning
আইপিএল-এর ১৮তম সিজন থেকে মোট কত টাকা আয় করল বিসিসিআই, এই প্রসঙ্গে জানার আগে জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন উৎস থেকে আয় করে বিসিসিআই (Board of Control For Cricket India)? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, একটি কিংবা দু’টি নয়, একাধিক বিভিন্ন উৎস থেকে আয় করে বিসিসিআই। যার মধ্যে রয়েছে সম্প্রচার ফি, টেলিভিশন স্বত্ব, ডিজিটাল স্বত্ব, স্পনসরশিপ ফি, অন্যান্য বিভিন্ন স্পনসর থেকে আয় করার পাশাপাশি টিকিট বিক্রি কিংবা ম্যাচের দিন অন্যান্য বিভিন্ন বিক্রি।
সম্প্রচার ফি, টেলিভিশন স্বত্ব, ডিজিটাল স্বত্ব থেকে আয় | IPL 2025 Earning
বিভিন্ন তথ্য মারফত জানা গিয়েছে, বিসিসিআই-এর আয়ের সবচেয়ে বড় এবং লাভজনক উৎসগুলির মধ্যে একটি হল সম্প্রচার ফি, যার পরিমাণ ছিল ৯,৬৭৮ কোটি টাকা। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত, আইপিএল-এর টেলিভিশন স্বত্ব অধিকার করেছে ডিজনি স্টার ২৩,৫৭৫ কোটি টাকা দিয়ে, অর্থাৎ প্রতি মরসুমের জন্য ৪৭১৫ কোটি টাকা করে। ওই একই সময়কালের জন্য, আইপিএল-এর ডিজিটাল স্বত্ব অধিকার করেছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিকানাধীন ভায়াকম১৮ ২৩,৭৫৮ কোটি টাকা দিয়ে, অর্থাৎ প্রতি মরসুমের জন্য ৪৭৫১.৬ কোটি টাকা করে।
স্পনসরশিপ ফি ও অন্যান্য ফি | IPL 2025 Earning
এছাড়াও রয়েছে, স্পনসরশিপ ফি। লিগের টাইটেল স্পনসর হল টাটা গ্রুপ, যারা আইপিএলের সাথে ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত নিজেদের স্পনসরশিপ চুক্তি করেছে ২,৫০০ কোটি টাকার বিনিময়ে। যার অর্থ, প্রতি সিজনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা করে। অন্যান্য স্পনসর যেমন মাই১১সার্কেল। তারা ২০২৪ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আইপিএল-এর অফিসিয়াল পার্টনার হিসাবে ৬২৫ কোটি টাকা (অর্থাৎ প্রতি মরসুমে ১২৫ কোটি টাকা), এবং আইপিএল ২০২৫ এর কো-প্রেসেন্টিং স্পনসর হিসাবে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা প্রদান করেছে।
আইপিএল ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসাবে অ্যাঞ্জেল ওয়ান এবং রুপে ১২৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে। এছাড়াও, ২০২৪ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত অফিসিয়াল আম্পায়ার পার্টনার হিসাবে ওয়ান্ডার সিমেন্ট ২৫০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে, অর্থাৎ প্রতি মরসুমে ৫০ কোটি টাকা করে। স্ট্র্যাটেজিক টাইমআউট পার্টনার হিসাবে সিএট টায়ারস ৫ বছরে ২৪০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে, অর্থাৎ প্রতি মরসুমে ৪৮ কোটি টাকা করে। এবং প্রতি বছর ৬৫ কোটি টাকার বিনিময়ে অরেঞ্জ অ্যান্ড পার্পল ক্যাপ পার্টনার হিসাবে চুক্তি করেন আরামকো।
এছাড়াও, বিসিসিআই কেন্দ্রীয়, স্পনসরশিপ এবং টিকিটিং রাজস্বের ২০ শতাংশ এবং প্রতিটি দল থেকে লাইসেন্সিং রাজস্বের ১২.৫ শতাংশ আয় করে; বাকিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। বিসিসিআই একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রীয় রাজস্ব বণ্টন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিটি দলকে ৪২৫ কোটি টাকা প্রদান করে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ১৮ বছরে প্রথমবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-এর শিরোপা জিতে নিয়েছে রয়্যাল চ্যাঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, খুশি দেশ-বিদেশের সমস্ত রয়্যাল চ্যাঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ভক্তরা।
আইপিএল ২০২৫ থেকে বিসিসিআই-এর আয় | IPL 2025 Earning
১। সম্প্রচার ফি বিক্রি হয়েছে ৯,৬৭৮ কোটি টাকার বিনিময়ে
২। টেলিভিশন স্বত্ব অধিকার করেছে ডিজনি স্টার, ৪,৭১৫ কোটি টাকার বিনিময়ে
৩। ডিজিটাল স্বত্ব অধিকার করেছে ভায়াকম১৮, ৪,৭৫১.৬ কোটি টাকার বিনিময়ে
৪। টাইটেল স্পনসর হিসাবে টাটা গ্রুপ প্রদান করেছে ৫০০ কোটি টাকা
৫। অফিসিয়াল পার্টনার এবং কো-প্রেসেন্টিং স্পনসর হিসাবে মাই১১সার্কেল প্রদান করেছে ৩২৫ কোটি থেকে ৩৭৫ কোটি টাকা
৬। অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসাবে অ্যাঞ্জেল ওয়ান এবং রুপে ১২৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে
৭। অফিসিয়াল আম্পায়ার পার্টনার হিসাবে ওয়ান্ডার সিমেন্ট ৫০ কোটি টাকা প্রদান করেছে
৮। স্ট্র্যাটেজিক টাইমআউট পার্টনার হিসাবে সিএট টায়ারস ৪৮ কোটি টাকা প্রদান করেছে
৯। অরেঞ্জ অ্যান্ড পার্পল ক্যাপ পার্টনার হিসাবে আরামকো ৬৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে
১০। এছাড়াও, টিকিট বিক্রি ও মার্চেন্ডাইজ বিক্রয় ও ম্যাচের দিন অন্যান্য বিক্রয় থেকে লাভ করে বিসিসিআই