বিয়ের প্রথম বছর হল নিম ফুলের মধু, (Neem Phuler Modhu) তেঁতোটুকু পার করলে তবে না ফুলের হদিস পাবি!’–এই কথাটিই ফুলসজ্জার পরদিন সকালে নাতবৌ পর্নাকে বলেছিলেন ঠাকুমা। আর শ্বশুরবাড়ির এই তেঁতো পার করতে গিয়ে রোজ একটার পর একটা অগ্নিপরীক্ষা দিতে হচ্ছে বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) পর্নাকে।
এই যেমন এবার পুরো ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করার মত একটা ঝামেলায় ফেঁসে গেছে সে। যদিও এই টাকা তার জন্য খোয়া যায়নি, তবে ভাইয়ের মত দেওর চয়নকে বাঁচানোর জন্য এই ঝুঁকি নিতে হয়েছে তাকে। আর এবার তাকে সাথ দিচ্ছে দত্ত বাড়ির আদুরে ছেলে সৃজন।
হ্যাঁ, অবশেষে বৌয়ের সাথে হাত মিলিয়েছে সে। ভাইকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে দুজনে। এখানে বলে দিই, চয়ন আসলে ক্রিকেট নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চায়। এমতাবস্থায় তার কাছে একটা ভালো ক্লাবে খেলার সুযোগ আসে। তবে সেক্ষেত্রে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানা যায়।
তার বাবা তো এই টাকা কিছুতেই দেবেনা। এমতাবস্থায় চয়নের মা অর্থাৎ পর্নার জেঠি তার স্বামীর টাকার ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার টাকার একটা বান্ডিল বের করে চয়নের হাতে দেয়। কিন্তু এমনই দূর্ভাগ্য যে, সেই টাকা নিয়ে চয়ন ফেঁসে যায় জালিয়াতির কেসে।
এদিকে টাকা না পেয়ে লাঠি নিয়ে স্ত্রীকে মারতে যায় চয়নের বাবা। আর তখন কোনো উপায় না দেখে পর্না জানায় ৩ দিনের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা এনে দেবে সে। এবং তারপর সে আর সৃজন মিলে পিসি ভাইপোর ছদ্মবেশে নেমে পড়ে ময়দানে। পৌঁছে যায় সেই নামকরা ক্লাবে।
সেখানে গিয়ে ফাঁদ পাতে পর্না। সে জানায় যত টাকা লাগবে তা দিতে তারা রাজি। তার বদলে তার ভাইপোকে টিমে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। আর খুব সম্ভবত পর্নার পাতা এই ফাঁদে পা দেবে এই ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যদিও ঠিক কিভাবে গোটা টিমটাকে সে ধরবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে পর্না যে এটা করেই ছাড়বে সে কথা বলাই বাহুল্য।