পার্থ মান্নাঃ কিছুদিন আগেই উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় রায় বেরিয়েছিল। তারপরেই খুশির হাসি হেসেছিলেন ১৪ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় ডুবোচরের বেশি সময় ধরে চলা শিক্ষক নিয়োগ রুডনিটি মামলার শেষে নিয়োগ হবে বলেই মনে হচ্ছিল। হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল ৪ সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারভিউ পক্রিয়া শুরু করার জন্য। তবে সে আবার হল না! নতুন করে জট তৈরী হয়েছে নিয়োগ পক্রিয়া নিয়ে।
ফের স্থগিত আপার প্রাইমারি নিয়োগ
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করতে যেতেই ফের স্থগিত হয়ে গিয়েছে উচ্চ প্রাধমিকের নিয়োগ পক্রিয়া। যার জেরে কিছুদিন আগেই যেখানে ইন্টারভিউ দিয়ে পুজোর পরে চাকরিতে জয়েন করার কথা ভাবছিলেন প্রার্থীরা তাদের ভাগ্য আবারও ঝুলে গেল বলা যেতে পারে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, পরীক্ষার নাম্বারে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে এসএসসির বিরুদ্ধে।
নিয়োগ থমকে যাওয়া নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া SSC এর?
SSC এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কিছুর প্রার্থীর সংসাপত্রে গরমিল রয়েছে। এছাড়া ইন্টারভিউ হওয়ার পরেও তথ্যের গরমিলের কারণে ও প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে বেশ কিছুজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ধরণের বিষয়গুলি আগামীদিনে সমস্যার কারণ হয়ত উঠতে পারে। তাই হাইকোর্টে পিটিশন দিতে পারে SSC। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আধিকারিকদের সাথে বৈঠক হয়ে গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা
প্রায় ৫ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল ২০১৫ সালের আপার প্রাইমারি নিয়োগের পরীক্ষায়। যার মধ্যে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬০ জন পাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে ৪ বছর পর মেধা তালিকা তৈরী হয় ৪ঠা অক্টবর ২০১৯ সালে। কিন্তু সেই তালিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে ও মামলা হয় ফলে ২০২০ সালে সেটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের ৩১ শে জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগের আদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
২০২১ সালেই নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ পায় ১৪০৫২ জনের। ফের অভিযোগ ওঠে তালিকায় নাম না থাকার। আবারও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৬ই অগাস্ট নতুন তালিকা জারি করা ১৩,৩৩৩ জনের নাম দেওয়া হয়। মোট ৮৯৪৫ জনকে ডাক পাঠানো হয়ে কাউন্সিলের পরে। কিন্তু এতেও ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। তাই এবার হাইকোর্টে নয় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তাঁরা।