নিউজশর্ট ডেস্কঃ কোন চাকরি ভালো জিজ্ঞাসা করলে নির্দ্বিধায় উত্তর মিলবে সরকারি চাকরি। মাসের পয়লা তারিখে মাইনে, উৎসবের মরশুমে ভরপুর ছুটি এমনকি অবসর নেওয়ার পরেও সারাজীবন পেনশন। সব কিছু মিলিয়ে একটা সরকারি চাকরি পেলেই লাইফ সেটেল এমনটাই ধারণা আমজনতার। তবে এবার আর মাসের ১ তারিখে ঢুকবে না মাইনে! হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন। এই সিদ্ধান্ত জানার পরেই রীতিমত বাজে পড়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাথায়। কিন্তু হটাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন? আর এক তারিখের বদলে কবে পাওয় যাবে বেতন? সবটাই জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
আসলে সরকারি কর্মীদের বেতন ঠিক পেনশনের জন্য প্রতিমাসে বিপুল অংকের টাকা খরচ হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই টাকা দেওয়ার জন্য ঋণ নিতে হচ্ছে সরাকরকে। সেক্ষেত্রে মাইনে দিতে গিয়ে নেওয়া লোনের সুদ দিতেও বিরাট খরচ হয়েই চলেছে। এবার সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যই মাইনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতিমাসে প্রায় ৩ কোটি টাকা বাঁচানো যাবে। অর্থাৎ বছরে প্রায় ৩ ৩৬ কোটি টাকা বাঁচবে রাজ্যের কোষাগারে।
রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তায় পরে গিয়েছেন কর্মীরা। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকরের কর্মীদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই নিয়ম চালু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মাসের ১ তারিখে মাইনে দেওয়ার জন্য বাহার বাজার থেকে ৭.৫ % হারে টাকা ধার নিতে হচ্ছে। যেটা কিছুদিন দেরিতে দিলেই মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকা বাঁচবে, আর বছরে ৩৬ কোটি বাঁচানো যাবে।’
এখন প্রশ্ন হল তাহলে কত তারিখে দেওয়া হবে মাইনে ও পেনশন? উত্তরে জানা যাচ্ছে এবার থেকে মাসের ৫ তারিখে বেতন পাবেন হিমাচল প্রদেশের রাজ্য সরকারের কর্মীরা। আর যারা পেনশন পান তাদের অ্যাকাউন্টে ১০ তারিখ টাকা পাঠানো হবে। এছাড়া আরও জানা গিয়েছে প্রতিমাসে কর্মীদের বেতনের জন্য ১২০০ কোটি ও পেনশনের জন্য ৮০০ কোটি মিলিয়ে ২,০০০ ক অতি টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের। তাই রাজ্যের কোষাগার থেকে ঋণের বোঝা কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।