নিউজশর্ট ডেস্কঃ UPSC, এই নামটা আজও আমাদের দেশের হাজার হাজার যুবক যুবতীর কাছে এক স্বপ্ন। এই একটা পরীক্ষা ক্র্যাক করলেই বদলে যায় জীবন। তবে এই পরীক্ষার ক্র্যাক করা এক ভীষণ কঠিন ব্যাপার। বছরের পর বছর বহু ছাত্র-ছাত্রী চেষ্টা করেও ক্র্যাক করতে পারেন না এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সফলতা পাওয়া এক কঠিন ব্যাপার। তবে এমনও কিছু ছাত্র-ছাত্রী থাকে যারা জীবনের প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফলতা পায় এই পরীক্ষায়। আর আজ এমনই এক ছাত্রের গল্প আপনাদের এই প্রতিবেদনে জানাবো আমরা।
এই গল্প উত্তর প্রদেশের বারাবাঙ্কির বাসিন্দা আদর্শ কান্ত শুক্লার। যিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে একজন IPS অফিসার হয়ে গড়েছেন নজির। সাধারণ পরিবারের সন্তান আদর্শ ছোট থেকেই বেড়ে উঠেছেন প্রতিকূলতার তার সাথে। বাবা রাধাকান্ত শুক্লা একটি প্রাইভেট ফার্মে অ্যাকাউন্টের কাজে কর্মরত। বাবাও হতে চেয়েছিলেন একজন সরকারি আধিকারিক। কিন্তু পারিবারিক চাপে তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তবে সেই সময়ও তিনি থেমে থাকেননি।
নিজে অফিসার না হতে পারলেও নিজের ছেলেকে নিয়ে সর্বদাই দেখেছেন স্বপ্ন। এই আদর্শ শুক্লার বাবা প্রায় কুড়ি বছর আগে গ্রাম থেকে বারাবাঙ্কিতে আসেন। প্রথমে নিজেদের বাড়িও ছিল না তাদের। ভাড়া বাড়িতেই বাস করতেন তারা। তবে এসবের মধ্যেও নিজের ছেলের পড়াশোনায় কোন খামতি রাখেনি তারা। বরং অসম্ভব এক স্বপ্নকেই বুকে চেপে মানুষ করছিলেন ছেলেকে। অবশেষে তাদের এই ত্যাগ, প্রতীক্ষা হল সফল। আজ তাদের ছেলে আদর্শ একজন IPS অফিসার।
প্রসঙ্গত ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন আদর্শ। তিনি লখনউয়ের ন্যাশনাল পিজি কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন । শুধু তাই নয়, তিনি বিএসসিতেও পান গোল্ড মেডেল। স্নাতক হবার পরই তিনি শুরু করে UPSCর প্রস্তুতি। ২০২০ সালে প্রথম এই পরীক্ষায় বসেন আদর্শ। জানলে অবাক হবেন, প্রথম প্রচেষ্টাতেই সর্বভারতীয় স্তরে ১৪৯ তম স্থান অর্জন করেন সে। নজির সৃষ্টি করে হন একজন সৎ IPS অফিসার।
এই পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়া ভবিষ্যতের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আদর্শর বক্তব্য ” সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাকেও অন্যান্য পরীক্ষার মত বিবেচনা করা উচিত। তবে এটিকে এ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য করা উচিৎ নয়।” এভাবেই বেঁচে থাকুক আদর্শর মতন ব্যক্তিরা ও নিজেদের গল্প দিয়ে তারা অনুপ্রাণিত করতে থাকুক হাজারও যুবক- যুবতীদের।