আজ আপনাদের জানাবো এক সাফল্যের গল্প। গল্পের শুরুটা কিন্তু ভিন্ন, শেষটা অবশ্য সমস্ত গল্পের একই। সাফল্য পাওয়ার পর আমরা সবাইকেই চিনি, কিন্তু সেই সাফল্যের পিছনে কতটা পরিশ্রম, কতটা ঘাম ঝরেছে বা কত রাত বিনিদ্র গিয়েছে সেই কাহিনীর খোঁজ কজনই বা রাখে! আজ আমরা এক তরুণীর সাফল্যের শিখরে ওঠার কাহিনী সম্পর্কে জানাবো।
আজকের এই গল্পের নায়িকা অঙ্কিতা নন্দী (Aunkita Nandi)। আজ তিনি যা করেছেন তা হাজারো মহিলার (Women) কাছে অনুপ্রেরণার। কলকাতার টায়ার-5 কোম্পানি গড়েছেন একেবারে নিজের হাতে। মহিলারাও যে ব্যবসায় (Business) সফল হতে পারে সেই মিথ ভেঙেছেন তিনি। শুরুটা আর পাঁচজনের থেকে একটুও আলাদা থাকেনি। একদম শুরুতে আমেরিকান (America) স্বামীর ব্যবসায় সাহায্য করতেন তিনি।
শুরুটা হয়েছিল স্বামীর কোম্পানিতে। সেখানে অন্যান্য কোম্পানির জন্য উদ্ভাবনী এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব পণ্য তৈরি করতেন অঙ্কিতা। আজ তার সল্টলেকে অফিস রয়েছে। সেখানে কাজ করেন শতাধিক কর্মচারী। বর্ধমানের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অঙ্কিতা দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে স্বপ্ন এবং পরিশ্রম করার ক্ষমতা থাকলে সমস্ত কিছুই সম্ভব।
কলেজে পড়াকালীন সফটয়্যার নির্মাণ করেন তিনি। এরপর 2015 সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। অঙ্কিতার কোম্পানির সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। তারা 25 টি পণ্য নির্মাণ করে। কোম্পানির কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) শাখারও নেতৃত্বও দেন তিনি। 8 বছরের ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি।
অঙ্কিতা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং করেন। আজ তিনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন অনেকগুলো কোম্পানির জন্য। তাদের কোম্পানি একটি সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক মডেল অফার করে যেখানে অন্যান্য ব্যবসাগুলি তাদের সফ্টওয়্যারগুলি কিনতে পারে এবং একটি ফিতে সুবিধা পেতে পারে।
2021 সালে তার কোম্পানির মূল্য ছিল 12 মিলিয়ন ডলার, আজ সেটি দাঁড়িয়েছে 100 কোটি টাকায়। আয়ের পরিমাণ 9 কোটিরও বেশী। কোম্পানি শুরুর সময় মাত্র 2টি কম্পিউটার দিয়ে শুরু হয়। আর আজ সেখানে কাজ করেন শতাধিক কর্মী