টলিউড,বিনোদন,গসিপ,বিতর্ক,সুদীপা চ্যাটার্জী,সোশ্যাল মিডিয়া,ট্রোলিং,Tollywood,Entertainment,Gossip,Controversy,Sudipa Chatterjee,Trolling,Social Media

Moumita

‘ওরা জানেনা ওরা কী বলছে’, ট্রোলিংয়ের জবাবে নেটিজেনদেরই দোষী করলেন সুদীপা

একটা সময় সম্মান, প্রতিপত্তি ভক্তদের ভালোবাসা কী ছিলোনা তার কাছে। জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় শো ‘রান্নাঘর’-র সঞ্চালিকা সুদীপার নাম-ই হয়ে গেছিলো ‘রান্নাঘরের রানি। সেই সুদীপ্তাই আজকে ভক্তদের ভালোবাসা পাওয়া তো দূর উল্টে কটাক্ষ, ট্রোলিং আর সমালোচনায় জর্জরিত। কিন্তু এর জন্য কোথাও না কোথাও সুদীপা কি নিজেও দায়ী?

   

সুদীপার অহঙ্কারী মনোভাবের পরিচয় তো এর আগেও পাওয়া গেছে। নিত্যদিন বিতর্কিত মন্তব্য আর অন্যকে ছোটো করার মানসিকতা দেখেই নাকি তার প্রতি বিরাগভাজন হয়েছে এককালীন ভক্তকুল। আজকাল তিনি কোনো পোস্ট দিলেই তাতে উপচে পড়ে কটাক্ষের বন্যা। অনেক সময় তো বাধ্য হয়ে কমেন্ট সেকশনও বন্ধ করে দিতে হয়েছে সুদীপাকে। আর সম্প্রতি এই নিয়েই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন এই সঞ্চালিকা।

বহুবার বহু বিতর্কে জড়ালেও কিছুদিন আগে সুইগি ডেলিভারি বয়দের অপমান করে দেওয়া পোস্টটা মেনে নিতে পারেনি নেটবাসিরা। আবার সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সুদীপার নোংরা আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন অরিত্র দত্ত বনিক এবং শ্রীলেখা মিত্রও। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে তার একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির খবরও। আর এই সবকিছুই ঘটেছিলো অনুরাগীদের সামনেই। কার্যত এরপর থেকেই সুদীপার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে সবাই।

যদিও এতেও কমেনি সুদীপার অহঙ্কার, তিনি বোঝেননি তার ভুল। উল্টে আবার নেটিজেনদের দোষারোপ করতেই ব্যস্ত তিনি। সম্প্রতি এমনই কিছু শোনা গেলো সঞ্চালিকার গলায়। এই প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “ভগবান এরা জানে না এরা কী করছে! ক্ষমা করে দিও।” অর্থাৎ তার কোনো ভুল নেই, সব ভুল যেন নেটিজেনদেরই।

আসলে হয়েছে কী, কয়েকদিন আগে স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সুদীপা। লিখেছিলেন “অসুস্থ থাকার সুবিধা।” অর্থাৎ তিনি অসুস্থ থাকায় তার স্বামী তাকে নিয়ে খেতে গিয়েছিলেন। আর এই পোস্টেই শুরু হয় নেতিবাচক মন্তব্যের বন্যা। কেউ লেখেন, ‘আপনি এতো ফুটেজখোর কেন? এতো কান্ডের পরেও লজ্জা হয়না আপনার?’ আর এইসব মন্তব্য দেখেই মন খারাপ সুদীপার।

এইসব মন্তব্য দেখে সুদীপা বলেন “লোকে এত কিছু লিখলেন— কেউ কিন্তু একবারও জিজ্ঞেস করলেন না, সুদীপা কি হয়েছে তোমার? ভাল নেই কেন? এর থেকে বোঝা গেল আমি মরে গেলেও,আপনারা আমার চিতায় ফুলের মালা গুনবেন। তাতে খুঁত ধরবেন। বানান ভুল ধরবেন। আমাকে দেখবেন না,তাই তো? কি নিষ্ঠুর!” যদিও তার এই শুকনো মন্তব্যে চিড়ে বিশেষ ভেজেনি।