পার্থ মান্নাঃ বর্তমানে টেলিকম বাজারে দুটি কোম্পানি একেঅপরের সাথে কড়া টক্কর দিয়ে চলেছে। যার একটি হল এয়ারটেল ও আরেকটি জিও। একদিকে মুকেশ আম্বানি সস্তার প্ল্যান আর ফ্রি হাইস্পীড ফাইভ জি ইন্টারনেট দিয়ে গ্রাহকদের টেনে রাখতে চাইছেন। তো অন্যদিকে এবার সবচেয়ে বেশি স্পীডের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক গঠন করে আম্বানিকে হারাতে কোমর কষছে ভারতী এয়ারটেল।
ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারপার্সন সুনীল মিত্তল জানাচ্ছেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট হল ম্যাজিক বুলেট। এই প্রযুক্তির সাহায্যে যে সমস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক নেই সেখানেও পৌঁছে যাওয়া যাবে। আজও ভারতে ২বিলিয়ন লোক ইন্টারনেট সংযোগ পান না। তাদের জন্য এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট দুর্দান্ত কাজ করবে। প্রতিটা কোণায় কোণায় নেটওয়ার্ক ও হাইস্পীড ইন্টারনেট সার্ভিস দেওয়া সম্ভব হবে।
স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এলেই মিলবে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা
জানা যাচ্ছে ভারতবর্ষের প্রায় এক চতুর্থাংশ এলাকার ইন্টারনেট স্পিড অনেকটা দুর্বল। ৫% লোকের কাছে এখনও ইন্টারনেট পরিষেবায় নেই। তবে যদি টেলিকম কোম্পানি স্যাটেলাইট টেকনোলজি ব্যবহার শুরু করে তাহলে ভূমিপ্রকৃতি যেমনই হোক না কেন উন্নত কানেকশন ও ফাস্ট ইন্টারনেট পাওয়া যাবে।
স্যাটেলাইট পরিষেবার জন্য প্রস্তুত এয়ারটেল
তবে এখানেই শেষ নয়, অত্যাধুনিক টেকনোলজির জন্য যেখানে সমস্ত টেলিকম কোম্পানিরই চেষ্টা করবে সেখানে ইতিমধ্যেই নিজের পরিকাঠামো তৈরী করে ফেলেছে এয়ারটেল। সুনীল মিত্তল জানান, গুজরাটে দুটি ও পুদুচেরিতে একটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এখন অপেক্ষা শুধুমাত্র সরকারি ছাড়পত্রের। সেটা পাওয় গেলেই ভারতের প্রতিটা কোণে কোণে ইন্টারনেট ও উন্নত নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাবে।
স্বাভাবিকভাবেই এমন একটা উন্নত টেকনোলজি যদি এয়ারটেলের কাছে প্রথমে চলে আসে তাহলে সেটা জিও এর জন্য যথেষ্ট চিন্তার। কারণ বর্তমানে হাইস্পীড ইন্টারনেট আর উন্নত নেটওয়ার্ককে গ্রাহকেরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই শীঘ্রই জিওকেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।