নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা কোথাও ৪০ তো কোথাও ৪৫ পেরোচ্ছে। গরমের ছুটি (Summer Vacation) শেষ হতেই খুলে গিয়েছে স্কুল। প্যাচপ্যাচে গরমেই স্কুলে যেতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। যদিও অনেকেই ভেবেছিলেন যে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা হয়নি, কারণ ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হলে পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করানো সম্ভব নয়।
গরমে ৫০দিন ছুটি ছিল স্কুল কলেজ, এমতাবস্থায় আবারও ছুটি বৃদ্ধির দাবি উঠছিল সর্বত্র। যদিও শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয় যে অতিরিক্ত গরমের থেকে মুক্তি পেতে স্কুলের সময় পরিবর্তন করা যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে বেলার বদলে সকাল সকাল স্কুলের পঠন পাঠন শুরু করানো হবে। যদিও মিড ডে মিল প্রকল্পে এক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
ইতিমধ্যেই অনেক স্কুলে সকালে ক্লাস চালু হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি, কারণ সিলেবাস শেষ করানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। অথচ সামনেই দ্বিতীয় সমেটিভ পরীক্ষা। তাহলে উপায় কি? অবশেষে এক অভিনব সমাধান খুঁজে বের করল সিউড়ি ১ নং ব্লকের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল হাইস্কুল। কি সেই সমাধান? সেটা হল এবার থেকে ছুটির দিন অর্থাৎ রবিবারেও খোলা স্কুল, নেওয়া হচ্ছে স্পেশাল ক্লাস।
আরও পড়ুনঃ পড়ার খরচ নিয়ে নো চিন্তা! অ্যাপ্লাই করলেই মিলবে ১২,০০০ টাকা স্কলারশিপ
হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন। স্কুলের শিক্ষক তাপসবাবু জানান, এক টানা ৫০ দিনের ছুটিতে অনেকটাই ঘাটতি হয়েছে পড়াশোনায়। এদিকে সামনেই দ্বিতীয় সমেটিভ পরীক্ষা। তাই আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাইল সিদ্ধান্ত নিই এই ঘাটতি পূরণের। সেই ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ, ছাত্রছাত্রীরাও তাতে বেশ সারা দিয়েছে। শুরুতে অভিভাবকেরা রাজি হবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল, তবে প্রস্তাব পাওয়ার পর রাজি তো হয়েছেনই বরং প্রথমদিনে উপস্থিতিও বেশ ভালো ছিল।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, একই পড়ুয়াদের নিয়ে প্রতিসপ্তাহের রবিবার ক্লাস হচ্ছে না। আলাদা আলাদা ক্লাসের ছেলে মেয়েদের নিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। শুরুতে ক্লাস নাইনের অঙ্ক, বাংলা, ভূগোলের ক্লাস নেয়াও হয়েছে। পরের দিন অন্য ক্লাসের পড়ুয়াদের পোড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই স্কুলের পঠনপাঠন ও পড়াশোনার প্রতি ছাত্রছাত্রী তথা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে প্রশংসা শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়।