পার্থ মান্নাঃ জনসাধারণের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতির স্বার্থে একাধিক প্রকল্প এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যার মধ্যে অন্যতম একটি হল স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। প্রতিবছর এই আর্থিক বৃত্তর জন্য লক্ষাধিক পড়ুয়ারা আবেদন করে ও টাকা পায়। যার ফলে শিক্ষার পথে আর্থিক বাধা আসে না। ইএইমধ্যেই এবছরের আবেদন পক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার টাকা ঢোকার পালা। কিন্তু কে টাকা ঢুকবে? তাহকেরা আপনি যদি শেষবারে আবেদন না করে থাকেন তাহলে কিভাবে নতুন করে আবেদন করতে পারবেন? এই সমস্ত তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে।
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ
অনেক সময় দেখা যায় অর্থের কারণে মেধাবী হয়েও উচ্চশিক্ষা বা পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারে না ছাত্রছাত্রীরা। এই সমস্যারই সমাধান করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। জানা যাচ্ছে এই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য নতুন পোর্টাল তৈরী করা হচ্ছে ,যেটা সম্ভবত পুজোর পরেই চালু করা হবে। একবার চালু হয়ে গেলে সেখান থেকেই সহজে যাবেন করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা।
স্কলারশিপে আবেদনের জন্য শর্ত
যারা এই স্কলারশিপে আবেদনের কথা ভাবছো তাদের কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আবেদনকারীর আধার কার্ড, মোবাইল নাম্বার, চালু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। শুধু তাই নয় নামের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নাম ঠিকভাবে মেনশন করতে হবে। কোনো কারণে নামের ভুল হল টাকা ঢুকবে না। তাছাড়া আধার কার্ডের নাম্বার কোনো কারণে ভুল হলেও সমস্যা হবে।
এছাড়াও আবেদনকারী যদি মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হয় সেক্ষেত্রে বয়স ১৮ এর নিচেই হবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টে একজন গার্জিয়ান থাকবে। আর যদি বয়স ১৮ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে KYC করে অ্যাকাউন্টটিকে মাইনর থেকে মেজর করে নিতে হবে। নাহলে টাকা ঢুকে গেলেও সেটা তোলা যাবে না। আর ব্যাঙ্কের সাথে আধার লিংক হয়েছে কি না সেটাও দেখে নিতে হবে।
এই স্কলারশিপের দ্বারা গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করা হয়। তাই আবেদনের সময় পরিবারের বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র লাগে। তাই পুজোর পরেই যদি আয়ের শংসাপত্র বানিয়ে রাখতে পৰ যায়, সেটা আবেদনের সময় অনেকটাই সুবিধা হবে। এছাড়াও স্কলারশিপ সংক্রান্ত কোন তথ্য ও নোটিশ দেখার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (svmcm.wbhed.gov.in) এ ভিসিট করে নিতে হবে।