পার্থ মান্নাঃ আর জি কর হাসপাতালের দুর্ঘটনার পর আন্দোলনে নেমেছিল জুনিয়ার ডাক্তারেরা। দেখতে দেখতে দুমাস আরো বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে এখনো জারি রয়েছে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন ও কর্ম বিরতি। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কেউ চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন তো কেউ আবার বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিসেবা সঠিক না থাকায় মানুষকে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতালে। যার ফলে হু হু করে বেড়েছে স্বাস্থ্য সাথী খাতে সরকারি খরচ। এবার সামনে এলো সেই পরিসংখ্যান। যেখানে বলা হয়েছে বিগত ১০ই আগস্ট থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্য সাথী জন্য রাজ্যের খরচ হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা।
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে স্বাভাবিক খরচে তুলনায় গড়ে প্রত্যেকদিন ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বেশি খরচ হয়েছে। ১০ই অগাস্ট থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা করে খরচ হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। যা বলে দিচ্ছে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পাওয়ার দরুন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
এমনকি জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য দফতর নবান্নে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালেই বেশি খরচ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট উদ্বিগ্ন করে তুলেছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে। তবে এই সময়ে যারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দৌলতে পরিষেবা পেয়েছেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।