কন্ট্রোভার্সি আর স্বস্তিকা যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। ফিল্মি দুনিয়ার হোক কী রাজনীতির ময়দান, নিজের বক্তব্য রাখতে কখোনোই পিছপা হননা তিনি। সম্প্রতি এই অভিনেত্রীই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন। গত শনিবার সারা রাজ্য জুড়ে পালন করা হয়েছে কার্নিভ্যাল। এইদিন গোটা রাজ্যের মানুষ শামিল হয়েছিলেন এতে। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকাও।
দক্ষিণপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির সঙ্গে কার্নিভ্যালে গিয়েছিলেন তিনি। দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও। দীর্ঘক্ষণ সৌজন্য বিনিময় হয় দু’ জনের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুহূর্তের ছবি আপলোড করে স্বস্তিকা লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক বছর পরে দেখা হল। শনিবার এক জমাটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি।”
এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে তিনি লিখেছেন, “আমি সবসময়ই দিদির অদম্য উৎসাহ এবং তেজদীপ্ত ব্যক্তিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছি। তাঁকে শুভ বিজয়া জানালাম। বেশ কিছু চকোলেট পেলাম। রাজ চক্রবর্তীকে অনেক ধন্যবাদ। উনি এই ছবিগুলি তুলে দিয়েছেন। বেশ মিষ্টি হয়েছে ছবিগুলি। আমি দক্ষিণপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির সঙ্গে কার্নিভ্যালে উপস্থিত থাকতে পেরে বেশ মজা পেয়েছি।”
তবে বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি যদিও। নায়িকার এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। আসলে SSC চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং মালবাজারের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পর এই উৎসব না করার দাবি এসেছিলো সমগ্র রাজ্যবাসী এবং বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে। সবারই দাবি ছিলো যে উত্তরবঙ্গের যাওয়া বিপর্যয়ের পর রাজ্যজুড়ে এভাবে উৎসব পালন করা ঠিক নয়।
যদিও রাজ্য তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি এবং সেই অনুষ্ঠানেই স্বস্তিকাকে দেখে ক্ষেপে উঠেছে তার ভক্তরা। এক নেটিজেনের প্রশ্ন, “আপনিও পার্টি বদলালেন?” অপর এক সোশ্যাল মিডিয়া মিডিয়া ইউজারের মন্তব্য, “আপনার কাছ থেকে এটা আশা করিনি।” আরও একজনের প্রশ্ন, “শেষে আপনিও!” এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর কথায়, “আপনার প্রতি ভালোবাসা তলানিতে ঠেকল।”
আসলে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্যের দাবি করে বসে আছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত হয়তো সেই দাবিতে আরো একটু ইন্ধন জোগাবে। এমতাবস্থায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যিনি নিজেকে জনদরদী বলে দাবি করেন তার বাস্তব দরদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। যদিও তার প্রতি হওয়া কোনো সমালোচনাকেই পাত্তা দেন না তিনি তাই এবারও যে বিশেষ পাত্তা দেবেন না তা বলাই বাহুল্য।