পার্থ মান্নাঃ সিঙ্গুর আন্দোলনের (Singur Andolon) কথা মনে আছে নিশ্চই? ২০০৬ সালে বাংলার রাজনীতি ওলটপালট করে দিয়েছিল সিঙ্গুর। প্রায় ১০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো গাড়ির কারখানা তৈরির জন্য। সেই সময়ের বামফ্রন্ট সরকরে বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ণা দেওয়া থেকে মিছিল হওয়ার পর বিরোধী পক্ষের আন্দোলনের কাছে হার স্বীকার করে সিঙ্গুর ছেড়ে চলে গিয়েছিল রতন টাটার (Ratan Tata) সংস্থা টাটা মোটরস (Tata Motors)।
সিঙ্গুরের এই আন্দোলনের জেরেই শাসক বদল হয়। বাম সরকারের বদলে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর আর ন্যানো কারখানা গড়ে ওঠেনি। এই কারণে অনেকেই বর্তমান সরকারকে শিল্প বিরোধী সরকার বলেও তোপ দেগেছেন। এরপর কেটে গিয়েছে ১৮ বছর। আর এবার শোনা যাচ্ছে, ফের সিঙ্গুরে বিনিউওগ করতে ইচ্ছুক টাটা গোষ্ঠী।
সিঙ্গুরে ফিরছে টাটা?
সব কিছু ঠিক থাকলে টাটা গোষ্ঠী ফিরতে পারে বাংলায় এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে কি টাটা ন্যানো কারখানা তৈরী হবে? না, এবার একেবারে অন্য কারণে বাংলায় আসতে পারে টাটা। সময়ের সাথে প্রযুক্তি যেমন উন্নত হয়েছে তেমনি জীবাশ্ম জ্বালানি ছেড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি ও বাইকের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে আমজনতার। এটা একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব তেমনি খরচও অনেক কম। তবে সিঙ্গুরে গাড়ি বা বাইক নয় ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরির কারখানা হতে পারে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই যাতায়াতের জন্য বাহনের প্রয়োজন বেড়েছে। আর ভবিষ্যতের কথা ভেবে কম দূরত্ব যাতায়াতের জন্য অনেকেই ই-সাইকেল কিনতে পছন্দ করছেন। টাটার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এমন ইলেকট্রিক সাইকেল বের করা হয়েছে যার দাম ৩০ হাজারের মধ্যেই। টাটার এই ইলেকট্রিক সাইকেলে ৩ ঘন্টা চার্জ দিলেই ৪০ কিমি রেঞ্জ পাওয়া যাবে। একইসাথে দু বছরের ওয়ারেন্টিও পাওয়া যাবে। যদি এই কারখানা তৈরী হয় তাহলে একদিকে যেমন বাংলায় নতুন শিল্প গড়ে উঠবে তেমনি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে সিঙ্গুরের মানুষের আর্থিক উন্নতি হবে।