নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমান প্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে যে কোনো ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্য চলার জন্য প্রসেসর চিপ লাগে। এই চিপ তৈরী করতে পারলেই দেশের উন্নতির পথ সুগম হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এবার ২৭,০০০ কোটি টাকা খরচে নির্মাণকার্য শুরু হল টাটা ইলেকট্রনিক্সের সেমিকন্ডাক্টর চিপ কারখানার। যেটাতৈরী হওয়ার পর দেশেই প্রতিদিন কয়েক কোটি চিপ তৈরী হবে, সাথে হাজার হাজার কর্মসংস্থানও হবে।
এবছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফ থেকে নতুন সেমিকন্ডাক্টর চিপ কারখানার অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল। যেসপ্তাহেই অসমের মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে সম্পন্নহয় ভূমি পুজো। যেখানে টাটা সনসের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন সহ উপস্থিত ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। টাটা ইলেক্ট্রনিক্স কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে কারখানাটি তৈরী হওয়ার পর প্রতিদিন প্রায় ৪.৮৩ কোটি চিপ তৈরী করা যাবে। আর প্রথমদিকেইপ্রায় ২৭০০০ চাকরি তৈরী হবে।
কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, কারখানা তৈরী হওয়ার পর এখানে মূলত তিন ধরণের চিপ তৈরী করা হবে। যা বর্তমানে দেশের প্রায় সমস্ত বড় গাড়ি কোম্পানি ব্যবহার করে। ফলে আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক পা এগোবে দেশ।
টাটা সনসের চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরন জানান, কারখানা নির্মাণের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছে যারা আসামের বাসিন্দা। পরবর্তীকালে আরও ১৫,০০০ চাকরি তৈরী হবে। শুধু তাই নয় এই কারখানার উপর নির্ভরকরে আরও ১২,০০০ কাজ তৈরী হবে। এছাড়া কাজ শুরু হওয়ার পর বাইরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকেও একাধিক প্রযুক্তি কোম্পানি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ AC, ফ্রিজ থাকলে বিপদ! মাসে ফ্রি রেশন নিলে এখুনি সাবধান হন, নাহলে পড়তে পারেন বিপদে
প্রসঙ্গত, আসামের পাশাপাশি গুজরাটেও একটিকারখানা তৈরী করছে টাটা ইলেক্ট্রনিক্স। সেইকারখানায় প্রায় ৯১,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে টাটা গ্রূপ। ঢেলারার কারখানাটি দেশের প্রথম ‘বাটার ফেব্রিকেশন’ কারখানা হতে চলেছে। যেটা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নিজের কাজ শুরু করবে। ফলে প্রতিমাসে প্রায় ৫০,০০০ ওয়েফার উৎপাদন করতে পারবে।