নিউজ শর্ট ডেস্ক: দেশ জুড়ে এখন বেড়েই চলেছে বেকারত্ব। তাই শিক্ষিত অনেক যুবক-যুবতীরাও চাকরি ছেড়ে ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকেই। শহরাঞ্চলের মতোই এখনকার দিনে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করছেন গ্রামের যুবক যুবতীরাও। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই বুঝতে পারে না কম পুঁজিতে কোন ব্যবসা করা লাভজনক হতে পারে? তাই কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে মাথায় রাখতে হবে যা থেকে সারা বছর ভালো টাকা উপার্জন করে সবাই।
কিন্তু ব্যবসা করার আগে অধিকাংশ মানুষই পুঁজির কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। তবে এমনও কিছু ব্যবসা আছে যা কম পুঁজি দিয়ে শুরু করেও হাজার হাজার টাকা উপার্জন করা যায়। আজ আপনাদের জানাবো এমনই দশটি লাভজনক ব্যবসার কথা। এই সমস্ত ব্যবসায় লোশনের সম্ভাবনা খুবই কম। এমনকি একবার শুরু করতে পারলে সারাজীবন তৈরি হয় এক মোটা টাকার আয়ের উৎস।
আচার ও পাপড়ের ব্যবসা:
অনেক মানুষ আছেন যারা পড়াশুনা জানেন না। তারাও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই আচার ও পাপড়ের ব্যবসা করেই প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব।
মুদির দোকান:
গ্রাম হোক বা শহর মুদির দোকানের চাহিদা থাকে সারাবছর। মুদিখানা প্রত্যেকের জীবনেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এককথায় এটি বারো মাসের ব্যবসা। তাই ভালোভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যাবসায় পরিণত হতে পারে। মুদিখানার দোকানগুলি সাধারণত সারা বছরই খোলা থাকে। বছরের পর বছর ধরে চলে আসে এই ব্যবসা যা থেকে তৈরি হয় একটি ভাল আয়ের উৎস।
মোমবাতি তৈরির ব্যবসা:
খুব অল্প টাকার বিনিয়োগ করেই এই মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এমনিতে সারা বছরই বাজারে থাকে মোমবাতির চাহিদা।
দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবসা:
বাজারে সারা বছরই দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাছাড়া গ্রামের দিকে ডেয়ারি ফার্ম খোলার মতো জায়গার অভাব নেই। তাই গ্রামাঞ্চলে ডেয়ারি ফার্ম খুলে দুগ্ধপণ্য উৎপন্ন করে তা শহর এবং শহরতলীতে খুব সহজেই বিক্রি করা যেতে পারে। এই ব্যবসা থেকেও খুব ভালো পরিমাণে আয় করা যায়। গ্রামের মানুষ গরু-মহিষ বা ছাগল পালন করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
মেরামতের কাজ:
গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি বা অন্যান্য মেশিনপত্র মেরামতের কাজ হয়ে থাকে। এই কাজ শিখতে পারলেও প্রচুর টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।
ফুল চাষ:
বিয়ে উৎসব ও অন্যান্য যেকোনো অনুষ্ঠানেই সারা বছরই ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই গ্রামের মানুষ তাদের খালি জমিতে ফুল চাষ করতে পারেন।
হাঁস-মুরগি পালন:
বছরভর ডিম-মাংসের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই গ্রামের মানুষ হাঁস মুরগি কিংবা খরগোশ পালন করেন। এই ব্যবসা করেও প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
মিষ্টির দোকান:
গ্রাম কিংবা শহর সারা বছরই মিষ্টির দোকানের ব্যাপক চাহিদা থাকে।
আরও পড়ুন: পাত্তা পাবে না JioFibre, এই সংস্থা মাত্র ২৪ টাকায় দিচ্ছে ৪০০ mbps স্পিড ইন্টারনেট!
মাশরুম চাষ :
ইদানিং অধিকাংশ মানুষের বাড়িতেই মাশরুম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাদ্য। গ্রামাঞ্চলে মাশরুম চাষের উপযুক্ত পরিবেশ থাকে। তাই কম খরচে মাশরুম চাষ করাই যেতে পারে। মাশরুম চাষ করেও নিজের আয়ের একটি বড় উৎসব তৈরি করা যেতে পারে।
ওষুধের দোকান:
গ্রামাঞ্চলেও এখন চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির সাথে সাথে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে ওষুধের দোকানগুলির। তাই ওষুধের দোকান খুলেও মানুষ মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারেন।