প্রচুর টাকার চাকরি ছেড়ে শুরু করেছেন কেঁচো সারের ব্যবসা, এখন প্রতি মাসে কামাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা

চাকরি থেকে এখন ব্যবসার দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগেই ধারণা এবং সাহস দুটোই থাকা প্রয়োজন। এর সাথে প্রয়োজন হল কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য তাহলেই সফলতা আসবে। কোন কাজই সহজে করা যায় না। তাই সমস্ত কাজই সঠিক সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে করলে সেখানে সফলতা আসে। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই এক মহিলা সফল ব্যবসায়ীর কথা আপনাদেরকে বলবো।

যিনি নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন। এই মহিলার নাম হলো পায়েল আগারওয়াল। বয়স মাত্র ২৫ বছর। মিরাটের সদর বাজারের বাসিন্দা তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর এক ভালো কোম্পানিতে চাকরি করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি খুশি ছিলেন না। তাই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর নিজের একটি স্টার্ট আপ শুরু করেন। কেঁচো থেকে সার তৈরি করে থাকেন। যেই সার চাষের কাজে অত্যন্ত প্রয়োজন।

এই নতুন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া তিনি যখন একবার রাজস্থানে বেড়াতে গিয়েছিলেন তখন তার মাথায় এসেছিল। সেখান থেকেই কেঁচো সার তিনি নিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই তার নজরে পড়ে এই কেঁচো সার মাটিতে ফেলে দিলে ফসলের উৎপাদন ভাল হয়। এরপর তিনি সাহস করে নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে গ্রীন আর্থ অর্গানিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম প্রথম তিনি ভাড়ায় কিছু জমি নিয়ে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করেন।

আর এখন তার তৈরি করা কোম্পানিতে ৩৫-৪০ জন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে কাজ করে থাকে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্র সহ অন্যান্য রাজ্যে তার এক ডজন ইউনিট আছে। ১ কেজি সারের দাম নেওয়া হয় প্রায় ২.৫ টাকা। এই সারের ব্যবসা করেই তিনি প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন।

Papiya Paul

X