ভারতীয় সঙ্গীত জগতের নতুন প্রজন্মের মেলোডি কুইন হলেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal)। মুর্শিদাবাদের এই ছোট্ট মেয়েটিই আজ আইকন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, শ্রেয়া ঘোষালের খ্যাতি কেবল ভারতেই (India) সীমাবদ্ধ নেই। পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও। জেনে অবাক হবেন যে, আমেরিকার (America) মাটিতে তার নামে রয়েছে গোটা একটা দিন!
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ১২ মার্চ মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন শ্রেয়া। ছোট থেকেই সঙ্গীতের প্রতি দারুন ঝোঁক ছিল তার। এরপর আসেন এক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-তে। এরপর সুযোগ আসে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘দেবদাস’ ছবিতে গান গাওয়ার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
এরপর একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। গান গেয়েছেন গেয়েছেন দেশ বিদেশের একাধিক কনসার্টে। দ্রুত দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। এসবের মধ্যে আমরা যদি বলি, আমেরিকার এক গভর্নরও শ্রেয়ার খুব বড় ভক্ত, তাহলে কি অবাক হবেন?
শুধু তাই নয়, সেদেশে একটা গোটা দিন রয়েছে শ্রেয়ার নামে। ২৬ জুন দিনটি পুরোটাই দেওয়া হয়েছে গায়িকাকে। এইদিন শ্রেয়া ঘোষাল ডে পালন করা হয়। ২০১০ সালে যখন ওহিয়ো গিয়েছিলেন শ্রেয়া তখনই গভর্নর টেড স্ট্রিকল্যান্ড ঘোষণা করেন, ২৬ জুনটি শ্রেয়া ঘোষাল ডে হিসাবে পালন করা হবে।
যাইহোক, প্লে ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে শ্রেয়ার প্রথম গান দেবদাস ছবির ‘ডোলা রে’ এবং বৈরি পিয়া। দুটো গানই সেই সময় তুমুল জনপ্রিয় হয়। তবে জানেন কি, বেশ অদ্ভুতভাবে এই সুযোগ এসেছিল শ্রেয়ার হাতে! আসলে সঞ্জয় লীলা বানসালির মা সারেগামাপা দেখতেন। সেখানে শ্রেয়ার গান শুনে তিনি পরিচালককে ফোন করে জানান, তাঁর গলা হুবহু লতা মঙ্গেশকরের মতো।
এরপর শ্রেয়ার গান শুনে বানসালিরও খুব ভালো লাগে। ভেবে নেন তার পরবর্তী ছবিতে শ্রেয়াই গাইবেন। এরপর জিসম ছবিতেও ‘জাদু হ্যায় নশা’ গানটি শোনা গিয়েছিল শ্রেয়ার কণ্ঠে। এরপর একের পর এক সুযোগ এসেছে তার হাতে। একাধিক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন সঙ্গীতপ্রেমীদের।