Kalimpong

Kalimpong: নতুন বছরে বেড়িয়ে আসুন কালিম্পং এর এই ৩ অজানা গ্রাম থেকে, মিলবে স্বর্গসুখ, খরচ নামমাত্র

নিউজশর্ট ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই আসতে চলেছে নতুন বছর। এই বর্ষবরণের সময় অনেকেই বাড়িতে থেকে সময় কাটাতে চান না। এদিক-সেদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। তবে একঘেয়ে দিঘা-পুরী বাদ দিয়ে অফবিট লোকেশনের(Offbeat Location) সন্ধান করেন অনেক পর্যটকেরাই। আপনিও যদি সেই দলেই পড়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটি সুসংবাদ।

আজকের এই প্রতিবেদনে কালিম্পঙের(Kalimpong) ৩ টি অজানা লোকেশনের সন্ধান নিয়ে চলে এসেছি আমরা। যেখানে একবার গেলে বার বার যেতে মন চাইবে আপনার। চলুন তাহলে এই নতুন জায়গাগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১) শিঞ্জি: একেবারে নির্জন নিরিবিলি একটি পাহাড়ি এলাকা। যেখানে চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে উঁচু-নিচু পাহাড় আর রয়েছে সাদা চাদরে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাহাড়ে এলে অনেকেই সূর্যোদয় দেখতে খুব ভালোবাসেন। তবে সূর্যোদয় ছাড়াও এখানে পাবেন অসাধারণ কাঞ্চঞ্জঙ্ঘায় সূর্যাস্ত। যা একবার দেখলে মনে লেগে থাকবে সারাজীবন।

এখানে আসতে হলে প্রথমে আপনাকে ট্রেনে করে শিলিগুড়ি নামত হবে। এরপরে সেখান থেকে শেয়ার কার বা প্রাইভেট গাড়ি করে কালিম্পঙে আসতে হবেই। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে চলে যেতে পারবেন সিঞ্জি। কালিম্পঙ থেকে সিঞ্জির দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটা হোমস্টে আছে। তবে এখানে থাকতে হলে আগে থেকে বুকিং করতে হবে।

আরও পড়ুন: Travel: দীঘার কথা ভুলে লোকাল ট্রেনে বেড়িয়ে আসুন কলকাতার এই পাহাড় থেকে, পালাবে সব টেনশন

২) গোকুলে: এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে আপনার। এই পাহাড়ের ঢালে ফসলের চাষ হয়, এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা হল এই কৃষিকাজ। এখানে খাবার দাবারও অত্যন্ত স্বাদের। এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। এই হোমস্টে গুলোতে আবার আধুনিক পরিষেবা মিলবে। সুইমিং পুল থেকে বারবিকিউ-এর ব্যবস্থা সমস্ত কিছুই আছে।

এখানে আসতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি করে চলে যেতে হবে সোজা কালিম্পং। এক্ষেত্রে মাথাপিছু খরচ হবে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। এরপরে কালিম্পঙ মোটরস্ট্যান্ড থেকে ছোট চারচাকা গাড়ি ধরতে হবে। চারচাকা গাড়ি মাথাপিছু বাবদ খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এই মোটর স্ট্যান্ড থেকে গোকুল যেতে সময় লাগবে খুব বেশি হলে ৩০ মিনিট।

৩) সামথার:

মাত্র কয়েকটি নেপালি পরিবার নিয়ে এই ছোট্ট গ্রাম গড়ে উঠেছে। যেটির নাম সামথার। একেবারেই নির্জন পাহাড়ি শান্ত একটা গ্রাম। এখানের লেকের ওপরেই রয়েছে নীল আকাশ।  আকাশের বুকে যেন জেগে রয়েছে তুষারশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এখানে ঝলমলে লেকের জলে পাহাড় এবং গাছে প্রতিবিম্ব লক্ষ্য করা যায়। এককথায় একদম অন্যরকম মনোরম পরিবেশ দেখতে পাবেন এই ছোট্ট গ্রামে গেলে।Kalimpong

আম্মি হুড নামক একটি হোমস্টে রয়েছে যেখানে প্রতিদিন থাকা খাওয়া নিয়ে ১৭০০ টাকা জনপ্রতি খরচ হতে পারে। এছাড়া ট্রেন ভাড়া বা বাস ভাড়া বিমান পথে গেলে সেই ভাড়া সঙ্গে গাড়ি ভাড়ার হিসাব আপনাকে আলাদা রাখতে হবে। সাইট সিন করার জন্য বেশ কিছু জায়গা রয়েছে।

Papiya Paul

X