শেষ ছবি ফ্লপ হওয়ার পর থেকে নিজেকে একেবারেই গুটিয়ে নিয়েছিলেন। প্রযোজনার কাজ করলেও অভিনয় থেকে দূরেই সরিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। আর বর্তমানে সব ছবিতেই শাহরুখ। একাধিক ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাকে। তা সে আর মাধবনের ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ হোক বা আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’।
এমনকি রণবীর আলিয়ার বহুল চর্চিত ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’তেও ক্যামিও চরিত্রে দেখা দেবেন তিনি। পাশাপাশি তার দেখা মিলবে সলমন খানের ‘টাইগার 3’ তেও। অর্থাৎ সবে মিলিয়ে দেখলে ইন্ডাস্ট্রি এখন শাহরুখময়। তবে এখানেই বেঁধেছে একটা গোল। একাধিক মেগা বাজেটের ছবিতে কিং খান থাকছেন এই খবরে তার ভক্তরা খুশি হলেও মোটেও খুশি হননি বাকি জনতা।
মোটের উপর বেশিরভাগ মানুষেরই বক্তব্য এই যে ‘টাইগার থ্রি’ তে ক্যামিও চরিত্র যেন না দেওয়া হয় শাহরুখকে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাখি বন্ধনের দিন মুক্তি পেয়েছে আমিরের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। ছবির খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এক রকম বিতর্ক শুরু হয়েছিলো তার বেশ ভালো রকম প্রভাব দেখা গেছে বক্স অফিসে। বলাইবাহুল্য, প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে আমির-করিনার এই ছবিটি।
ছবি ফ্লপ হতেই সলমনের পাশাপাশি আমির ভক্তরাও রেগে ব্যোম হয়ে আছে শাহরুখের প্রতি। সকলের দাবি বলিউড বাদশাহই নাকি অপয়া। তার জন্যই একের পর এক ছবি ফ্লপ হচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ তো এটাও বলেছে যে, পাকিস্তানে ছুড়ে ফেলা হোক শাহরুখ খানকে। এই নিয়ে টুইটারে ট্রেন্ডও শুরু করেছে সবাই।
এমতাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ার হাওয়া একটু উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বৈকি। বিভিন্ন সাইট ঘুরলেই দেখা যাচ্ছে মানুষজন শাহরুখের করা পুরোনো মন্তব্য খুঁজে বের করছে যেখানে কিং খান পাকিস্তানি শিল্পীদের প্রশংসা করেছিলেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, পুলওয়ামা, উরি হামলার পরপরই ‘রইস’ ছবিতে পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান কীভাবে সুযোগ পেলো?
এর চেয়েও বড়ো অভিযোগও এনেছে মানুষ। কারো কারো দাবি সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ ছিল শাহরুখের। অর্থাৎ সবে মিলিয়ে শাহরুখের এখন সাড়ে সর্বনাশ। দিন কয়েক আগেই ছেলে আরিয়ানকে নিয়ে কম ঝামেলা গেলোনা মন্নতের উপর। এরপর লাগাতার ফ্লপ ছবির ধাক্কা সামলে ইন্ডাস্ট্রিতে ফেরার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন তিনি। তার মধ্যেই আবার এইসব।