একটা ঝটকা, আর এক লহমায় সবটা শেষ। ব্রেন স্ট্রোক নিয়ে ১ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা আর তার ঠিক একদিন আগেই নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে জানিয়েছিলেন কৃতজ্ঞতা। এ কি নিছকই কাকতলীয় নাকি উপর থেকে বিধাতা বলে দিয়েছিলেন যে, ‘আর সময় নেই, শেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাও’!
হ্যাঁ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঠিক আগের দিন নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে প্রেমিক সব্যসাচীকে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ”আমার বেঁচে থাকার কারণ”। একদিকে যেমন তাঁর শেষ পোস্ট, জীবন সব্যসাচীকে ঘিরেই ছিল, তেমনই সব্যসাচীর লড়াই তাঁকে নিয়ে ছিল। এ যেন ভালোবাসার এক নতুন সংজ্ঞা।
ঐদিন সব্যসাচীর জন্মদিন উপলক্ষে দুজনের হাসিমাখা একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কালো পোশাকে টুইনিং করেছিলেন দুই তারকা। এই ছবিটিতে সব্যসাচীর মুখে লেগে আছে আলগা হাসি। এক হাত দিয়ে আগলে রয়েছেন ঐন্দ্রিলাকে। আর কাছের মানুষটিকে-কে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
আর এই আনন্দের মুহুর্ত কাটতেই বিধাতা যেন বললেন, ‘সময় শেষ, এবার চলে আয়’। আর ঠিক তারপরেই ঘটে গেল অঘটন। এরপর টানা ১৯ টা দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন অভিনেত্রী। এই কয়েকটা দিনে সম্পর্কের টান, যত্নে রাখা, পাশে রাখা, লড়াই সমস্ত কিছুরই নতুন সংজ্ঞা দিল এই দুজন। শেখালেন, বোঝালেন অনেক কিছুই।
প্রসঙ্গত, গত ৫ বছরের প্রতিটা লড়াইয়ে নিজের ‘মিষ্টি’র পাশে থেকেছে সব্যসাচী। তাঁর ছোট ছোট ইচ্ছাপূরণ, ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁয় খাওয়া, সবই সব্যসাচীর হাত ধরে। কেমোথেরাপির পর যখন ঐন্দ্রিলা যখন ন্যুব্জ হয়ে পড়তেন, তখনই হাতে হাত রেখে সাহস জুগিয়ে যেতেন তিনি।
Instagram-এ এই পোস্টটি দেখুন
সেই সব টুকরো টুকরো স্মৃতি ভাগ করে নিতেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে। তবে এরপর হয়তো আর তার প্রোফাইল ফুটে উঠবে না। তার কলম আর লিখবেনা মিষ্টি’র কথা। তবে ঐন্দ্রিলা তাঁর শেষ পোস্টে রেখে গেলেন ভালোবাসার দলিল। জীবনের শেষ দিন অবধি বেঁচে নিলেন সব্যসাচীর জন্যই।