নিউজ শর্ট ডেস্ক: টলিউডে (Tollywood) সুন্দরী অভিনেত্রী তো অনেকেই রয়েছেন, কিন্তু মিষ্টি নায়িকা মনামী ঘোষের (Monami Ghosh) মতো বয়সকে ধরে রেখেছেন এমন অভিনেত্রীর সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল এসব যেন ছুঁতেই পারেনি তাঁকে। তাই অনেকেই রসিকতা করে বলেন, ‘মনামি ঘোষের বয়স বাড়ে না। তাই তাঁর রূপের আসল রহস্যটা কি? একথা জানতে আগ্রহী কম বেশি আগ্রহী সকলেই।
উইকিপিডিয়া বলছে মনামি ঘোষের বয়স ৩৯ অর্থাৎ প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু তাঁকে দেখতে লাগে ঠিক একেবারে সদ্য স্কুলের গন্ডি পেরোনো অষ্টাদশীর মতো। তাই সকলেই জানতে চান ঠিক কি কারণে চল্লিশের গণ্ডিতে পৌঁছেও অষ্টাদশীর মত দেখতে লাগেন মনামি? তাঁর মারকাটারি ফিগার থেকে দুর্দান্ত ফিটনেস দেখে কাবু অসংখ্য পুরুষ হৃদয়।
তবে শুধু পুরুষরাই নন মনামির এই অপরূপ সৌন্দর্য আর দুর্দান্ত ফিটনেসের ফ্যান মহিলারাও। কিন্তু এই লাসাময়ী অভিনেত্রীকে মেকআপ ছাড়া কেমন দেখতে লাগে? সত্যিই কি তিনি ‘এজলেস বিউটি’? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মেকআপ ছাড়াই একটি সূর্যের চুম্বনের ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। যা থেকে জানা গেল মনামির একেবারে আসল চেহারাটা ঠিক কেমন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীর চোখে মুখে মেকাপের লেশ মাত্র নেই। প্লাগ করা নেই ভ্রু টাও। সূর্যের আলো এমনভাবে মনামির মুখে এসে পড়েছে যে তাতেই একেবারে কেল্লাফতে। ছবিতে স্পষ্ট সত্যিই মনামি ঘোষকে এখনও পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি বয়স। অনেকের মতে মেকআপ ছাড়াই অনেক বেশি সুন্দরী মনামী।
আরও পড়ুন: ‘বঁধুয়া’ সিরিয়ালের ‘পেখম’ এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর আত্মীয়! জানুন অভিনেত্রীর আসল পরিচয়
কিন্তু অভিনেত্রীর এই বয়স ধরে রাখার সিক্রেটটা কি? তবে এদিন বিনা মেক আপে মনামিকে দেখে নিজের চোখেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকে। তাই রসিকতা করে এক অনুরাগীর প্রশ্ন ‘আপনি কি ভ্যাম্পায়ার’? কিন্তু কিভাবে নিজেকে এত সুন্দরী করে তুললেন মনামি? কুড়িতে বুড়ির প্রবাদ ভেঙে কি করে চল্লিশের কোটায় এসেও এত সুন্দরী তিনি? সকলেই জানতে চান তাঁর রূপের রহস্য কিংবা তার সারাদিনের ডায়েট চার্ট।
এপ্রসঙ্গে একবার সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার হজমশক্তি দারুণ। তাই আমার ওজন বাড়ে না। আমি চেষ্টা করি খাবারে কার্বোহাইড্রেট না রাখার।’ এছাড়া সারাদিনের ডায়েট প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন ‘সারাদিনের রুটিন তেমন কিছু নয়। এর আগে এক মিউজিক ভিডিয়োর শুটিংয়ের সময় প্রতিদিন জিমে গিয়েছিলাম। জিম থেকেই আমায় একটি ডায়েট দেওয়া হয়েছিল। কোনও কার্বোহাইড্রেট থাকবে না। সেটা দেড়মাস মেনে চলেছি আমি। সকলে পাশে বসে বাগদা-গলদা খেয়েছে, আমি শুধুই প্রোটিন খেয়ে থেকেছি।