বাংলার কন্ট্রোভার্সি করে যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তিনি হলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। এই যেমন রবিবাসরীয় সকালেই বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। নাম না করেই নিশানা করেছেন টলিপাড়ার সাম্প্রতিক চর্চিত অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta)।
আসলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জল গড়িয়েছে বহুদূর। যাতে সরাসরি না হলেও নাম জড়িয়েছে বনির। যার কারণে বিগত বেশকিছুদিন ধরেই তিনি রয়েছেন সংবাদ শিরোনামে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার গাড়ি নিয়েছিলেন বনি। আর সেই কারণেই তাকে হাজির হতে হয়েছিল ইডির দরবারে।
ইতিমধ্যেই একপ্রস্থ জেরাও করা হয়ে গেছে বনিকে। তারপর থেকেই ইতিউতি কটাক্ষের সুর শোনা যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে। কিছুদিন আগেই কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছিল প্রযোজক রানা সরকারের কণ্ঠে। এবার সেই রেশ ধরেই কটাক্ষ শানিয়েছেন শ্রীলেখাও।
সাম্প্রতিক পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, “জাতে উঠতে পারছি না তো। কারণ অভিনেতা হওয়া তো এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরো লিখেছেন, “জীবনে একটা ইডি, সিবিআই-এর ডাক পেলাম না! রোজ়ভ্যালি থেকে কুন্তল… ছিঃ ছিঃ।” এমনকি নিজের পুরোনো গাড়ির কথাও লিখেছেন তিনি।
এরপরেই শ্রীলেখা লিখেছেন, “আর পরের ছবির প্রযোজকের আশায়। ধুর ধুর! পতিবাদ থুরি প্রতিবাদ করছি।” সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে যোগাযোগও করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান, ‘বাংলা সিনেমা করে কত পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, সেই ধারণা সকলেরই আছে। উঁচু দামি গাড়ি চড়ছ, ইডি সিবিআই ডাকছে, তার পর তা দাদা-দিদিদের ধরে ধামাচাপা দিতে পারছ কি না, সেটাই তো এখন ট্রেন্ড।’
সাথে সাথে শ্রীলেখা এটাও বলেছেন, ‘‘এই সব দেখেও অনেকে চুপ থাকে। শ্রীলেখা এমনি এমনি কিছু বলে না। যার সম্পর্কে বলে সঠিক কারণেই বলে। ঘুণ ধরে যাওয়া এই সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমার কথা বলা। যোগ্যতার নিরিখে কেন এখানে কাজ হবে না?’’