এখনকার দিনে সোশ্যাল মিডিয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই প্লাটফর্ম যেমন হাজারো মানুষের জীবনে নতুন ভোরের দরজা খুলে দিয়েছে, তেমনই হঠাৎ সেই দরজা বন্ধও করে দিতে পারে। এই যেমনটা ঘটেছে স্বনামধন্য গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর (Imon Chakraborty)সঙ্গে। রাতারাতি গায়েব হয়ে গিয়েছে তার ইউটিউব চ্যানেল (YouTube Channel)।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তারিত পোস্টও করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘আজ সকালে ইউটিউবের তরফে একটি ইমেল পেলাম। ওরা ওদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমার চ্যানেলটিকে সরিয়ে নিয়েছে। জানি না কী করেছি, বা আমি কোন নিয়ম লঙ্ঘন করেছি। আমরা এই চ্যানেলের পিছনে এতটা সময় বিনিয়োগ করেছি। হঠাৎ ওদের একটা মেল আসায় সেটা গায়েব হয়ে গেল। এটা সত্যিই অনভিপ্রেত।’
আসলে, ইউটিউব বা যে কোন সামাজিক মাধ্যমেই কোনো চ্যানেল বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমটির তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। এরপরেও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কথা না মানলে তখন চ্যানেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইমনের ক্ষেত্রে এমনটা কিছুই হয়নি।
এই বিষয়ে ইমন বলেছেন, ‘ইউটিউব জানিয়েছে, আমরা নাকি কিছু নিয়ম লঙ্ঘন করেছি। কিন্তু কী নিয়ম ভেঙেছি, সেটা জানায়নি। আমাদের যদি খুঁজে বার করতে হয় কী ভুল করেছি, সেই সুযোগও নেই। কারণ চ্যানেলটাই তো নেই!’ প্রসঙ্গত, ইমনের এই চ্যানেলের বয়স প্রায় ১৩ বছর। তার এই জার্নিতে বেশ কয়েকটা সতর্কবার্তা এসেছিল যদিও।
ইমনের কথায়, ‘‘সেগুলো আমরা আবার আবেদন করায় ওরাও মেনে নন। কোনও সমস্যা হয়নি। একটা চ্যানেলের পিছনে একটা পুরো টিমের পরিশ্রম কাজ করে। একটা গান তৈরিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তা ছাড়া আমার চ্যানেল থেকে নতুনদের গানও প্রকাশ করেছি। তাদের গানের ভিউয়ারশিপও দারুণ। ওদের জন্য আরও বেশি খারাপ লাগছে।’’
এসবের মধ্যে গায়িকার নামে ফেক চ্যানেলও খুলে ফেলেছে অনেকে। এখন বড় প্রশ্ন হল, চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনতে এখন কী করবেন ইমন? শিল্পী জানান, ইতিমধ্যেই টুইটারে তিনি ‘ইউটিউব ইন্ডিয়া’র থেকে সাহায্য চেয়েছেন। এরপর ইমেইলও করবেন তিনি। গায়িকা বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে ওরা এই কাজটা করল সেটা আমরা জানতে চাইব। তার পর ওদের তরফে ইমেল না আসা পর্যন্ত তো অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।’