নিউজশর্ট ডেস্কঃ সাধারণ মানুষ বহুদিন ধরেই অভিযোগ করেছে টোটোকে কেন্দ্র করে। কারণ এই টোটোর জন্য পথে-ঘাটে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই সমস্যায় জর্জরিত হয়েছেন মফস্বল থেকে গ্রামের মানুষেরা। আর এবার এই সমস্যা থেকে আমজনতাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য টোটো চালকদের নিয়মে(Toto Driver Rules) বাধার উদ্যোগ নিল পরিবহন দপ্তর। এই মুহূর্তে গ্রাম বাংলা থেকে মফস্বলের এলাকা সব জায়গাতেই টোটোর বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে কার টোটো বৈধ, কার টোটো বৈধ নয় সেটা বোঝার উপায় নেই। বেকার যুবকেরা কিছু টাকা রোজগারের আশায় টোটো কিনে ইচ্ছেমতো চালানো শুরু করে দিয়েছেন। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এখন এই জায়গাগুলোতে সব সময় ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে টোটো আর এর ফলে বাস, অটো, বাইক সঠিকভাবে এগোতে পারছে না।
আর এভাবেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়া যাত্রী তোলা নিয়ে টোটো চালকদের ঝামেলা এখন রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টোটোর লাগাম ছাড়া বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করার জন্য এবার করা নিয়ম চালু করা হলো।
এক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে কি নিয়ম চালু করা হলো?
কলকাতা শহরের বেশিরভাগ জায়গায় এখনো টোটো প্রবেশ করতে পারেনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাকি শহর এবং মফস্বল এলাকা গ্রামে টোটোর রাজত্ব চলছে। এবার সেখানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে রাস্তায় যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবার প্রতিটি বৈধ টোটোয় বিশেষ QR CODE এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি টোটো এই QR CODE লাগানো থাকবে যেটা স্ক্যান করলে টোটো রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর, চালকের সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ পেয়ে যাবে। এর ফলে কোন টোটোর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ জানানোর থাকে যাত্রীরা এই QR CODE স্ক্যান করে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। আর যে সমস্ত নম্বর প্লেট থাকবে না সেই টোটোগুলোকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে।
আর যে সমস্ত টোটোতে এই QR CODE থাকবে না সেই চালকের লাইসেন্স এবং পারমিট বাতিল করা হবে। ওই চালককে আর কোথাও টোটো চালাতে দেওয়া হবে না বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মধ্যমগ্রাম ও বারাসাত পৌরসভা এই নিয়ম কঠোরভাবে চালু করে দিয়েছে। এর পরবর্তীকালে মুর্শিদাবাদ এবং বসিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকার এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে।