এই দেশের গ্রামাঞ্চলে গরীব নারীদের জন্য একটি নতুন জীবনযাত্রার সুযোগ তৈরি করেছে অস্থায়ী বিয়ের প্রথা। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকরা, যারা দেশের সৌন্দর্য দেখতে আসেন, তারা একাধিক গ্রামের নারীদের সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বিয়ে করছেন। এই বিয়ের মাধ্যমে নারীরা শুধুমাত্র নিজের জীবিকা নির্বাহই করছেন না, বরং তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্যও করছেন এই অস্থায়ী বিয়ের মাধ্যমে পাওয়া টাকা দিয়ে।
পর্যটকদের সাথে অস্থায়ী বিয়ে
অস্থায়ী বিয়ের মাধ্যমে নারীরা কিছু টাকা উপার্জন করেন ও সেই টাকা দিয়ে তারা নিজেদের ও পরিবারের খরচ চালান। এভাবে, তারা গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে অস্থায়ী বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে, যা শুধু নারীদের জীবিকা নয়, পর্যটন শিল্পকেও সমৃদ্ধ করছে। ভাবছেন কোন দেশে? উত্তর হল ইন্দোনেশিয়াতে।
অবশ্যই, এই ধরনের বিয়ের অভিজ্ঞতা প্রতিটি নারীর জন্য একরকম নয়। যেমন, ১৭ বছর বয়সী চাহায়া (নাম পরিবর্তিত) তার প্রথম অস্থায়ী বিয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, তার প্রথম স্বামী ছিলেন ৫০ বছরের সৌদি পর্যটক, এবং সেই বিয়ের বিনিময়ে তিনি ৮৫০ ডলার পেয়েছিলেন, যা প্রায় ৭২ হাজার ভারতীয় টাকার সমান। চাহায়া পরে আরও ১৫টি অস্থায়ী বিয়েতে করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
নারীদের জীবনযাত্রায় প্রভাব
অস্থায়ী বিয়ের মাধ্যমে নারীদের জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য। অনেক নারীর জন্য এটি এক ধরনের পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে তারা দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হন। তবে এই বিয়ের পেছনে অনেক নারীর কাছে একটা গোপন কষ্টও রয়েছে। চাহায়ার মতো অনেক নারী একাধিকবার দুঃখজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে দাসীর মতো ব্যবহার করেন ও সৌদি আরবের মধ্যে নানা ধরনের শোষণের শিকার হন।
আইন ও সামাজিক সমস্যা
ইন্দোনেশিয়ার আইন অনুযায়ী অস্থায়ী বিয়ে এবং যৌনকর্ম বেআইনি। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, যা সমাজে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে। সেখানকার নারীরা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে এতটাই অসহায় যে তারা এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় জড়িত হতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছেন।