নিউজশর্ট ডেস্কঃ গোটা দেশবাসী এখন অযোধ্যার রাম মন্দিরকে(Ayodhya Ram Mandir) নিয়ে ভাবছেন। অনেকেই আবার এই বিশেষ দিনে রামলালার দর্শন করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন। বহু মানুষ ইতিমধ্যে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনাও দিয়েছেন। এক কথায় বলতে গেলে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে গোটা দেশবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। আর এর ফলে পর্যটন(Travel) ব্যবসার ক্ষেত্রেও বেশ বাড়তি দাম শুরু হয়ে গিয়েছে।
এর কারণ যেহেতু চাহিদা তুঙ্গে এই সুযোগে তরতরিয়ে বেড়ে চলেছে অযোধ্যাতে থাকার খরচ। এই ২ থেকে ৩ দিন আপনি যদি অযোধ্যায় থাকতে চান তাহলে বেশ মোটা অংকের টাকা আপনার পকেট থেকে খসতে পারে। তাই অনেকেই বাড়িতে থেকেই মোবাইল কিংবা টেলিভিশনের দৌলতে রামলালাকে দর্শন করে নিচ্ছেন। তবে এবার আপনার জন্য রয়েছে বিশেষ সুখবর। আপনি যদি সরাসরি সামনে থেকে রামলালার দর্শন করতে চান। তাহলে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে কয়েকটি সংস্থা।
এক্ষেত্রে কম খরচে আপনি অযোধ্যা ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। বেশ কিছু ট্রাভেল কোম্পানি যারা একদম কম খরচের মধ্যে অযোধ্যা সফরের প্যাকেজ আপনাদেরকে দিচ্ছে। চলুন তাহলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ট্রেনের ভাড়া: এই মুহূর্তে কম খরচে যাওয়ার জন্য প্রথমেই পরিবহনের ক্ষেত্রে ট্রেনের উপরে নির্ভরশীল হতে হবে। আপনি কম খরচে পৌঁছাতে চাইলে অযোধ্যায় না গিয়ে সরাসরি পৌঁছে যান বারাণসীতে। কলকাতা থেকে অজস্র ট্রেন রয়েছে বারানসীর উদ্দেশ্যে। সেখানে একাধিক ধর্মশালা এবং হোটেল রয়েছে। আপনি বারানসীতে গেলে মহাদেবের দর্শন করে বেরিয়ে পড়তে পারবেন রামলালা দর্শনের উদ্দেশ্যে।
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা: এখানে অযোধ্যা রেলস্টেশনের কাছে এই গুজরাতি ধর্মশালা রয়েছে। আপনি সেখানে থাকার জন্য আপনার বাজেটের মধ্যে ঘর ভাড়া পেয়ে যাবেন। বাজেট বলতে খুব বেশি হলে ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকার ঘর পেয়ে যাবেন এখানে। আর আপনি ঘর যদি না পান তাহলে ডরমেটরি বুক করে নিতে পারেন। সেখানে ১০০ টাকাতেও থেকে যেতে পারবেন। আবার বিনামূল্যে এখানে খাবারও পাওয়া যায়। এর পাশেই রয়েছে সীতা রাজমহল ধর্মশালা, যেখানে ৬০০ থেকে বারোশো টাকার মধ্যে ঘর পাওয়া যায়। এছাড়া ডরমেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে মাত্র ৭০ টাকা দিয়ে খাবার পেয়ে যাবেন। এছাড়া আর একটা কম খরচে থাকার জায়গা হল কনক ভবন। এখানে আপনি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ঘর ভাড়া পেয়ে যাবেন। এখানেও বিনামূল্যে প্রত্যেকদিন খাবার দেওয়া হয়।
অযোধ্যায় এলে কি কি দেখবেন? অযোধ্যাতে প্রচুর দেখার জিনিস রয়েছে। এখানে প্রচুর তীর্থক্ষেত্র রয়েছে যা গুণে শেষ করা যাবে না। তবুও বেশ কিছু তীর্থক্ষেত্র সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানো হলো। রামাকোট মন্দির, সপ্তারি মন্দি, চন্দ্রহরি মন্দির, ধর্মহরি মন্দির, বিল্লহরি মন্দির, পুণ্যগিরি মন্দির গুপ্তহরি চক্রহরি মন্দির, হনুমান ঘরি মন্দির, শ্রীকালিকাদেবী মন্দির, শ্রী বড়ক্ষেত্র মন্দির জম্বুতীর্থ মন্দির, তুন্ডিলাশ্রম মন্দির, অগস্তসর মন্দির, শ্রী পাহারশ্বর মন্দির, গোকুল শ্রীখণ্ড মহালক্ষ্মী মন্দির, পটহার মন্দির, রািনবারুই মন্দির, শ্রীযজ্ঞদেবী মন্দির, রাশিয়ান মন্দির, েনপালি মন্দির, রামায়ণ ভবন, সত্যর মন্দির, রত্ন সিংহাসন মন্দির, নভি নগর মন্দির, গোরাপুর মন্দির, বন্দি দেবীর মন্দির, ভারত হনুমান মিলন মন্দির, কবিরপন্থ মন্দির, ফুলপুর মন্দির, আশরফি ভবন মন্দির, শ্রীলোমেশ মুণি আশ্রম।