Papiya Paul

চারিদিকে কুয়াশা, নদীর কলকল শব্দ, একান্তে দুজনে সময় কাটাতে চলে যান এই পাহাড়ি গ্রামে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ পাহাড় বলতে শুধুমাত্র দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) কথা মনে পড়ে পর্যটকদের। তবে এর মধ্যে থেকেও বেশ কিছু পর্যটক রয়েছেন, যাদের কাছে পাহাড় বলতে শুধু দার্জিলিং নয়। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় একদম অফবিট লোকেশনে(Offbeat Location) সময় কাটাতে চান তারা তাই নিত্যনতুন লোকেশনের জন্য ইন্টারনেটে  সার্চ করেন বহু মানুষ। তাদের সুবিধার জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন। মিরিকের(Mirik) কাছে একটি অফবিট জায়গা রয়েছে যার খোঁজ এখনো বহু মানুষ জানেন না।

   

আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই একটি জায়গার সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। এই জায়গাটির নাম হল তাবাকোশি। মিরিক থেকে তাবাকোশির দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার। পাহাড়ের বুকে একদমই অপূর্ব সুন্দর একটি জায়গা। এখানে পাহাড় দেখলে মনে হবে ছবির মতোই সুন্দর এই গ্রাম। রংভং নদীর তীরে রয়েছে এই গ্রামটি। গোপালধারা টি এস্টেট-এর কাছে এটি অবস্থিত। এখানে থাকার জন্য নদীর ধারে একাধিক হোমস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।

আপনি সারা বছরই এখানে আসতে পারেন। শীতের শুরু থেকেই এখানে পাহাড়ি রাস্তার ধারে বিভিন্ন রকমের ফুল ফুটতে শুরু করে। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। নিস্তব্ধ, নিরিবিলিতে আপনি নদীর কলকল জলের শব্দ অনায়াসে শুনতে পাবেন। এই নদীর জলে পা ডুবিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারেন প্রিয়জনের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে। আর এতে আপনার মন অনেকটাই ভালো হয়ে যাবে।

পাহাড়ের ধারে ছোট্ট একটা পার্ক রয়েছে। আপনার সঙ্গে যদি ছোট্ট বাচ্চা সঙ্গী থাকে তাহলে টিকিট কেটে পার্কে ঘোরাঘুরি করে ফেলুন। অল্প ছুটিতে বেশি দৌড়াদৌড়ি না করে নির্জন নিরিবিলিতে পাহাড়ের কোলে সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা এই তাবাকোশি। আপনি চাইলে সকালের দিকে মিরিক লেকে ঘুরে আসতে পারেন। আর রাত্রে হোমস্টের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বন ফায়ারের মজা নিতে পারেন। এই অনুভূতি একেবারেই অন্যরকম। কিভাবে যে সময় কেটে যাবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না।

কিভাবে যাবেন?
এনজিপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে তাবাকোশি আসতে পারেন। অথবা এনজিপি থেকে মিরিক বাজার পর্যন্ত যেকোনো শেয়ার গাড়িতে চলে আসুন। সেখান থেকে আবার গাড়ি করে তাবাকোশি।