শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পৃথিবী আমাদের বিস্ময়ে ভরা। এমনই একাধিক অদ্ভুত এবং অনন্য জায়গা (Unique Place) আছে, যার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আর ভ্রমণবিলাসী ব্যক্তিরা প্রায়ই বিশ্বের নতুন নতুন জায়গা ঘুরে দেখতে যান। আজ তাই তাঁদের জন্য আমরা আপনাদের এমনই একটি আশ্চর্যজনক এবং অনন্য স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। এই জায়গাটি দেখার পর আপনি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।
পৃথিবীর এই অদ্ভুত সুন্দর জায়গাটি কোথায়?
জানেন, এই সুন্দর স্থানে পৃথিবী ও আকাশের সঙ্গম দেখা যায়। এই জায়গার ছবি দেখার পর আপনার মনে হবে যে আপনার এখানে যাওয়া উচিত। এই স্থানটি প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পৃথিবীর এই অদ্ভুত এবং সুন্দর জায়গাটির নাম সালার দে উয়ুনি, যা বলিভিয়া দেশে অবস্থিত। এটি একটি অত্যন্ত অনন্য এবং রহস্যময় জায়গা যা সকলেই দেখতে চাইবে। লক্ষ লক্ষ বছর আগে এই অঞ্চলটি “লাগো মিনচিন” নামে একটি বিশাল হ্রদের অংশ ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদিও হ্রদটি শুকিয়ে যায়। আর এই অনন্য লবণাক্ত সমভূমিটি পিছনে ফেলে যায়। আজ এটি বলিভিয়ার জন্য লবণের একটি প্রধান উৎসও।
এই স্থানটি দক্ষিণ-পশ্চিম বলিভিয়ার আন্দিজ পর্বতমালার কাছে অবস্থিত। এই স্থানটি প্রায় ১০৫৮২ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই স্থানের উচ্চতা প্রায় ৩৬৫৬ মিটার। জানেন, এই জায়গার দৃশ্য দেখতে হুবহু আয়নার মতো। বর্ষাকালে, যখন এই স্থানের লবণ ক্ষেতে জল জমে, তখন এটি স্বভাবিকভাবেই খুব সুন্দর দৃশ্য উপস্থাপন করে। মনে হবে যেন স্বর্গে দাঁড়িয়ে আছেন। আর এই অনন্য স্থানটি দেখতে কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে।
আরও পড়ুন: বাইক ছেড়ে এবার রোবট ঘোড়ায় চড়বে মানুষ! ভিডিও দেখিয়ে চমকে দিল Kawasaki
এটি বিশ্বের বৃহত্তম লবণাক্ত সমতল। এখানে আকাশ এবং জমির মিলন খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এই জায়গাটি দেখার পর আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না যে স্নানটি কোথায় শেষ আর আকাশ কোথায় শুরু হল। এই কারণে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এবং অদ্ভুত জায়গাগুলির মধ্যে একটি।
SALAR DE UYUNI IN BOLIVIA 🇧🇴#Travel #Discover #Bolivia
Bolivia’s Salar de Uyuni is considered one of the most extreme and remarkable vistas in all of South America, if not Earth. Stretching more than 4,050 square miles of the Altiplano, it is the world’s largest salt flat, left… pic.twitter.com/gCa2VeZeTa— Discover No1 (@Discover_No1) January 3, 2024
জানা যায়, এই জায়গায় লবণের স্তর প্রায় ১০ মিটার পুরু। এই স্তর এতটাই শক্তপোক্ত যে এখানে যানবাহনও সহজেই চালানো যায়। এই লবণ সাগরের মাঝখানে একটি দ্বীপও রয়েছে, যার নাম আবার ইসলা ইনকাহুয়াসি। এই লবণাক্ত এবং অনুর্বর এলাকাটি গোলাপী ফ্লেমিঙ্গো পাখিদের আবাসস্থল বলেও জানা যায়। এই লবণাক্ত সমুদ্রের মাঝখানে “ইসলা ইনকাহুয়াসি” নামে একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে। এই ইনকাহুয়াসি দ্বীপে আবার বিশালাকার ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা ক্যাকটাসও জন্মে।